dawahsalafiyyahbd | Unsorted

Telegram-канал dawahsalafiyyahbd - আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

2571

Subscribe to a channel

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

রমাযান মাসের গুরুত্ব ইসলামের শত্রুরাও জানে ও বোঝে। সেজন্যই তারা এই মাস উপলক্ষে অনেক আয়োজন করে থাকে, ছাড়ের ব্যবস্থা করে। শুধুমাত্র আমাকে আপনাকে শিকার করার জন্য। সুতরাং, যতটা নির্জন ও সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে থাকা যায় ততই মঙ্গল।

হে মুসলিম প্রিয় ভাই আমার, আল্লাহ তা'আলা আমাকে এবং আপনাকে ইসলাম বিদ্বেষী -বিদয়াতী ও কুফফার- গোষ্ঠী থেকে হিফাযত করুন। দ্বীনকে যথাযথ আকড়ে থাকার তাওফীক দিন।

#মাহে_রমাযান

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

#রমাযান_রুটিন-০২

রমাযান মাস। সারাদিনই আমরা ফরয ইবাদতের মধ্যে থাকি। সুতরাং, সালাতের মাঝে যেমন আমরা ধীরস্থিরতা ও নম্রতা বজায় রাখি, অনুরূপ এই মাসের সারাদিনই আমাকে সেভাবে কাটানোর চেষ্টা করতে হবে।

সময়ে অসময়ে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। কারণ, আমরা তো সারাদিনই ইবাদতের মাঝে আছি। বিশেষ করে কুরআন তিলাওয়াত, সালাতের পর ইত্যাদি সময়গুলোতে।

দুনিয়াবি, সাংসারিক কাজ এই সময় একটু কমিয়ে দিতে হবে। সালাফরা শুধু রমাযান উপলক্ষে নিজেদের কাজকর্ম কমিয়ে দিতেন, ইবাদতে মশগুল থাকতেন। কাজকর্ম যেন আমাদেরকে এই মহান বরকতময় মাস থেকে গাফেল ও অমনোযোগী না করে দেয়।

নিজেদের অন্যান্য পড়াশোনার চেয়ে এই মাস উপলক্ষে শুধুই শরয়ী ইলম অর্জনে মনোযোগী হতে হবে। এতে করে শরয়ী ফরয ইলম অর্জন করাও হবে, রোযা ও ইলম উভয় আমলের একত্রিত সওয়াব হবে।

ফরয সালাতের পাশাপাশি এই মাসে অন্যান্য নফল ইবাদতের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কে জানে, হতে পারে এটাই আমার জীবনের শেষ রমাযান...

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

রমাজানে এটা অবশ্যই করতে হবে...

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

বরকতময় রমাজানের আগমনে খুশী হয়ে আমরা যেন আমাদের ফি"লি*স্তি'নী ভাইদের ভুলে না যাই, যারা এই শুভ মুহূর্তেও যন্ত্রণাদায়ক ও বীভৎস জুলুম ভোগ করছে।

আমরা অবশ্যই তাদের জন্য দোয়া করব, কারণ দোয়াই হলো শক্তিশালীদের অস্ত্র। আর এই মাসে তো দোয়া কবুলের প্রায় নিশ্চিত আশা করাই যায়।
পাশাপাশি অনুমোদিত পন্থায় তাদের জন্য আমরা অনুদান দেব। কেননা এই মাস তো দানশীলতা ও বদান্যতার মাস।

✍️শায়খ সুলায়মান আর-রুহায়লী হাফিযাহুল্লাহ।
(১১/০৩/২০২৪ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের বিরুদ্ধে একটি খুতবা লিখলাম। এটার বহুলপ্রচার কামনা করছি। আমরা একশ কপি ছাপিয়ে খামে করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের জিরো পয়েন্ট ও রাণীবাজার-সংলগ্ন এলাকার মসজিদগুলোর সম্মাননীয় খতিবগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমার স্নেহভাজন ছাত্র ভাইয়েরা আমাকে হেল্প করেছে খুতবার কপি ডিস্ট্রিবিউট করতে। আল্লাহ তাদেরকে সর্বোত্তম পারিতোষিক দিন। আপনারাও নিজেদের এলাকার ইমাম-খতিবগণের কাছে খুতবাটি পৌঁছে দিন। দরকার হলে প্রিন্ট করে খামে করে পৌঁছান তাঁদের কাছে। কোনো হানাফি-আহলেহাদিস বাছবিচার করিনি, বরং সব মসজিদে দিয়েছি। ছবিতে এটা আমাদের এক উস্তাজের হানাফি মসজিদে দেওয়া খাম, যিনি লক্ষ্মৌর নদওয়াতুল উলামা থেকে ফারেগ এবং আরবি সাহিত্যে রাবি থেকে পিএইচডি-হাসিলকারী। ইয়া আল্লাহ, আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সংশোধনের চেষ্টা করেছি, আপনার দেওয়া তৌফিক ছাড়া আমাদের কোনোই সামর্থ্য নেই। এই ছোটো কাজগুলোর অসিলায় আমাদের পাপগুলো মাফ করে দিন। আমিন।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে পরিবারের পক্ষ থেকে মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য শীতকালীন উপহার।

বইয়ের নাম : হারানো সুন্নাহ
মূল লেখক : শাইখ ড. মুতলাক আল-জাসির হাফিজাহুল্লাহ
অনুবাদ, টীকা-সংযোজন ও পরিশীলন : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

"প্রত্যেক অধিকারীকে তার হক দাও" এই অসিয়ত তালেবে ইলমের বেশি বেশি চিন্তা করা দরকার। বিশেষত সে যখন একই সাথে মানুষকে দাওয়াত ও শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্বে থাকে এবং নিজ পরিবার ও সন্তানদের প্রতিপালনের গুরুভার কাঁধে বহন করে।

✍️শায়খ সালেহ সিন্দী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

যখন ফিতনা ছড়িয়ে পড়ে, তখন
-মাহদী সম্পর্কে,
-কালো পতাকাধারী দল সম্পর্কে,
-মালহামা সম্পর্কে,
-স্বপ্ন সম্পর্কে,
-কারামাত সম্পর্কে,
-পবিত্র গ্রন্থের ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে আলাপ আলোচনা বেড়ে যায়।

এতে করে
-সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রণ ঘটে,
-কল্পনার রাজ্য বিস্তৃত হয়,
-মানুষকে কল্পলোকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

যার ফলশ্রুতিতে মানুষ তৃণলতার মতোই ভেসে বেড়ায়, মরীচিকার পেছনে ছুটতে থাকে।

এর মাধ্যমে কত শত রক্ত ঝরে, কত মাল লুট হয়!

অতএব আপনারা শয়তানের ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান থাকুন।

✍️শায়খ সালেহ আল-উসয়মী হাফিযাহুল্লাহ।
(০৮/১১/২০২৩)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

🚦 আলেমদের সম্পর্কে সুধারণা রাখুন!

তালেবে ইলমের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী, ইলম বুঝতে সহায়ক এবং আলেমদের ইলমের গভীরতায় পৌঁছতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর পন্থা হলো: আলেমদের সম্পর্কে সুধারণা রাখা।

এই কথা বললে মোটেও আশ্চর্যজনক হবে না যে, ইলমের তিনটা ভাগ আছে:
১ম ভাগে তালেবে ইলম নিজেকে সবচেয়ে জ্ঞানী মনে করে! আল্লাহ যাকে রহম করেন সে ব্যতিত।

২য় ভাগে পৌঁছলে মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করা শেখে!

আর তৃতীয় স্তরে উপনীত হলে নিজেকে সবচেয়ে মূর্খ মনে করে!

প্রথম ভাগে থাকাকালীন সময়ে অন্যদের খন্ডন এবং আলেমদের ভুল ধরার প্রবণতা তার বেশি থাকে। সে এটা পছন্দ করে না, ওটা তার ভালো লাগে না!
এখানে দাঙ্গা লাগায় তো ওখানে ঝগড়া!

এখানে ইবনু হাজার আসকালানী নমনীয়তা (তাসাহুল تساهل) দেখিয়েছেন!
এখানে স্ববিরোধী হয়েছেন, ওখানে তিনি সঠিকতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছেন!
অমুক জায়গায় তিনি নিজের শর্তের বিরুদ্ধে নিজেই লিখেছেন!
এই জায়গাতে ইবনু হাজার আসকালানী অন্যান্য উসূলে হাদীসের পরিভাষাবিদদের বিপরীতে গেছেন!!

ইবনু হাজার আসকালানী এরকম কথা কেন বললেন, সেটা বোঝার মতো তার জ্ঞানও নাই সময়ও নাই!

তার মনে এই প্রশ্ন জাগে না যে, বর্ণনাকারীর অবস্থা এরকম হওয়া সত্ত্বেও ইবনু হাজার আসকালানী তার ব্যাপারে সিকাহ বা সদূক শব্দ কেন ব্যবহার করলেন!? এটা কি মানা যায়!

এই ধরনের পন্ডিতম্মন্য লোকের কাছে এই প্রশ্ন হওয়াও সম্ভব:
আরে ইবনু হাজার আবার কে?
সুয়ূতী কে?
আলবানী কি?
ইবনু বায আবার কেডা?!
ইবনু উসায়মীন কে?
বরং (আরো একধাপ এগিয়ে)
যাহাবী, ইবনু রজব এরা কারা?
ইবনু তায়মিয়া, ইবনুল কয়্যিম কোত্থেকে এলো এরা!?

কিন্তু ইলম অর্জন, পড়াশোনা, গবেষণা ও চিন্তাভাবনার নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টায় কিছুদিনের মাঝেই সে নিজের কাছে থাকা ইলমের দৈন্যতা ধরতে পারে! সে বুঝতে পারে যে, আসলে ওনারা সবাই একেকজন ইলমের পাহাড়সম ব্যক্তিত্ব।

অতীতে গত হওয়া আলেমদের তুলনায় আমরা তো খেজুর গাছের নিচে থাকা তৃণলতার মতোই! যেমনটা বলেছেন আবু আমর ইবনুল 'আলা রহিমাহুল্লাহ।

সে ধীরে ধীরে আবিষ্কার করতে থাকে, আলেমরা কেন এই কথা বলেছেন? তিনি কেন এমন কাজ করেছেন?
সে এমন এক জগতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে, যেখানকার প্রতিটা পদক্ষেপ তাকে নিজের দীনতা বুঝিয়ে দেয়, দৈন্যতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। নিজেকে মনে হয় একঝাঁক মোরগের সাথে খাঁচার মাঝে সে একাই মুরগির ছোট্ট ছানা।

কিছুদিন যেতে না যেতেই সে নিজেকে "অনেক কিছুই জানে না" এরকম অবস্থায় পায়।

এর মূল চাবিকাঠি হলো: আলেমদের সম্পর্কে সুধারণা রাখা।

✍️শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

গা'যার অধিবাসীদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং দোয়া ও সামর্থানুযায়ী তাদের সহযোগিতা করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য শরয়ী ওয়াজিব।

কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমরা অবিবেচক ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে এমন কোনো কাজ করব যা ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য আরো বেশি ক্ষতির কারণ হবে।
ওহে মুসলিম! নিজের দেশে ফিতনার বীজ বপন করার মাধ্যম হওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।

গা'যাকে সাহায্য করা কখনোই মুসলিমদের মাঝে ফিতনার আগুন জ্বালিয়ে বা তাদের রক্ত ঝরার কৌশল তুলে দেওয়ার মাধ্যমে হতে পারে না।

আপনারা সেইসব লোকের কথা শুনবেন না, যারা আপনাদের আবেগ ও মনের ব্যথাকে কাজে লাগিয়ে নিজ দেশে ফিতনার আগুন জ্বালাবে এবং তার নিজের ও তার দলের মনোবাঞ্ছা পূরণ করবে!

আপনারা জ্ঞান ও বিজ্ঞতার পরিচয় দিন।

শরীয়ত অনুমোদিত এবং উদ্দিষ্ট সঠিক লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয় এরকম ক্ষেত্রে সাধ্যমতো সবকিছু দিয়ে গা'যাকে সাহায্য করুন। মুসলিমদের জন্য নতুন কোনো ধ্বংসযজ্ঞ যেন না নিয়ে আসে, তা খেয়াল রাখুন।

🪶শায়খ আলী আর-রমলী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

আমরা কিভাবে দুর্বল মুসলিমদের সহযোগিতা করব?

প্রথম খুতবা

প্রশংসা সবই আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, সাহায্য চাই তাঁর কাছে, তাঁর সমীপেই ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা আল্লাহর কাছে নিজেদের নফসের খারাবি থেকে ও বদ আমলের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না; আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না।

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার আর কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীদের উপর দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন।

অতঃপর, আল্লাহকে ভয় করুন এবং তাঁর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরুন, ওহে আল্লাহর বান্দারা। আল্লাহ বলেনঃ "হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যথাযথ ভয়। আর তোমরা মুসলমান হওয়া ছাড়া মারা যেও না। আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না।" (সূরা আলে ইমরান, ১০২-১০৩)

জামা'আতকে আঁকড়ে ধরা আপনাদের জন্য আবশ্যক, কেননা আল্লাহর হাত জামা'আতের সাথেই রয়েছে। একাকী হলে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে একাকীই!

ঈমানদারগণ!
নবী ﷺ ভালোবাসা, মমতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি দিক থেকে মুমিনদেরকে একটি দেহের ন্যায় হতে নির্দেশ দিয়েছেন, যার কোনো একটি অঙ্গ ব্যথিত হলে পুরো শরীরে সেই ব্যথা অনুভূত হয়। কেননা ঈমানী বন্ধন আসলে সবচেয়ে মজবুত, টেকসই এবং শক্ত বন্ধন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ "নিশ্চয়ই মুমিনরা ভাই ভাই।" রাসূল ﷺ বলেছেনঃ "আল্লাহর বান্দা হিসেবে তোমরা ভাই ভাই হয়ে যাও।"

এই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের অন্যতম চাহিদা হলো, মুসলিম ভাইদের মাঝে কোনো বিপদ আপতিত হলে তাতে সমবেদনা জানানো, তাদের প্রতি কৃত অত্যাচারে পারস্পরিক সহযোগিতা করা, বিপর্যস্ত অবস্থায় মাল, খাবার ও ঔষধ সহ সবকিছু নিয়ে তাদের প্রতি হাত বাড়ানো। মুমিনদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমবেদনাই যদি না থাকে, তাহলে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক থাকার কি ফায়দা!?

ওহে আল্লাহর বান্দারা!
বর্তমানে মুসলিমগণ বহুবিধ বিপদের মাঝ দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছে। কিছু জায়গায় যুদ্ধের লেলিহান শিখা জ্বলছে, কিছু জায়গায় বন্যা ও ভূমিধ্বস পরবর্তী ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এহেন পরিস্থিতিতে মুসলিম ব্যক্তির উচিত নিজেকে এই প্রশ্ন করা: এইরকম অবস্থায় আমি দ্বীনী ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় ও তার চাহিদা পূরণে কি করতে পারি?
উত্তরঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কাউকে তার সাধ্যাতীত কিছু চাপিয়ে দেন না। তিনি বলেনঃ "আল্লাহ কাউকে সধ্যের বাইরে কিছু চাপিয়ে দেন না।" সেই সক্ষমতার মাঝে আমরা সবাই যেটা পারি সেটা হলো: বিপদগ্রস্ত সবার জন্য‌‌‌ দোয়া করা, আল্লাহ যেন তাদের থেকে এই ঘোরতর বিপদ উঠিয়ে নেন, তাদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা করে দেন, তাদের উত্তরণ ও মুক্তির পথ বাতলে দেন, দুঃখের পরে সুখের ব্যবস্থা করে দেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা দোয়ার আদেশ দিয়েছেন এবং দোয়া কবুল করারও ওয়াদা দিয়েছেন।

আরো যে বিষয় আমাদের সক্ষমতায় রয়েছে তা হলো: শাসক যখন আমাদের থেকে তাদের জন্য দানের আহ্বান করবেন, তখন আমরা দান করব; যেসব মাধ্যমে পাঠানোর অনুমোদন রয়েছে শুধু সেগুলোর মাধ্যমেই পাঠাতে হবে। কেননা, আমরা শাসকদের আনুগত্য করতে আদিষ্ট। আল্লাহর তাওফীকে আমাদের এই রাষ্ট্র এইসব দান গ্রহণ করে এবং যত্নের সাথে সেগুলো উপযুক্ত ব্যক্তির হাতে সমর্পণ করে।

অনেক চোর বাটপার এইসব বিপদকালীন সময়কে দানের মাল লুট করে নেওয়ার উপযুক্ত সময় মনে করে। ফলে তারা বিভিন্ন একাউন্ট খুলে মানুষদেরকে সেইসব একাউন্টে টাকা পাঠাতে বলে। অতএব আপনারা তাদের আবেগী কথায় ধোঁকা খাবেন না!

এখন জি'হাদের ডাক বা সশস্ত্র হয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে কথা হলো, এটা তো শাসকের অধিকারে। আলেমদের ভাষ্যমতে জি'হাদের বিষয়টা একমাত্র তারই উপর ন্যস্ত।

যারা যুবক ও অন্যদেরকে শাসকের অনুমতি ব্যতিরেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণের দাওয়াত দেয়, তারা মূলত ফিতনা ও বিশৃঙ্খলার আহ্বায়ক। তারা না যুবকদের ভালো চায় আর না উম্মতে মুসলিমার কল্যাণকামী তারা।

হে আল্লাহ! আমরা আপনার সুন্দর নাম সমূহ এবং সুউচ্চ গুণাবলীর মাধ্যমে মিনতি করছি যে, ফি"লি'স্তিনের দুর্বল মুসলিমদের উপর আপনি রহম করুন, তাদের মুক্তি ও উত্তরণের ব্যবস্থা করুন। তাদের জীবনকে নিরাপদ করুন, ইজ্জতকে হেফাজত করুন। তাদের অন্তরে ঈমানের বন্ধন দিন, তাদের ভিতরের ও বাইরের শত্রুদের মোকাবেলায় আপনি তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। নিশ্চয়ই আপনি মহাক্ষমতাধর, পরাক্রমশালী।

আমি নিজের জন্য ও আপনাদের জন্য সব পাপ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আপনারাও ক্ষমা প্রার্থনা করুন; নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

দোয়া করাটা মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অধিকার:
হে আল্লাহ! আপনি আকসা ও তার অধিবাসীদের মুক্তি দিন, মুসলিমদের জন্য আপনি পাপিষ্ঠ ও মন্দ লোকদের খারাবির বিপরীতে যথেষ্ট হয়ে যান।

🪶শায়খ সালেহ আল-উসয়মী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

🚦তালেবে ইলমের যেসব আচরণ পরিহার করতে হবে

প্রশ্নঃ প্রাথমিক স্তরের তালেবে ইলমরা কি ধরনের ভুলে নিপতিত হয়? (আমাকে বলে দিন) যাতে করে আমি তা এড়িয়ে চলতে পারি।

উত্তরঃ এটা অনেক বিস্তৃত বিষয়।
তবে সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো: নিয়তের মাসয়ালা। কারণ আল্লাহ ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে শরয়ী ইলম অর্জন করা ব্যক্তি বিপথগামী হয়, ফলে সে এই ইলম থেকে উপকৃত হতে পারে না। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত কঠোর হুঁশিয়ারি তো রয়েছেই।
অতএব সর্বপ্রথম তোমার জন্য নিয়তকে খালেস করা ওয়াজিব, নিজের সাথে এ নিয়ে জিহাদ করে যাও।

দ্বিতীয়ত, তালেবে ইলমকে আত্মসম্মানবোধহীন করে দেয় এমন মন্দ আচরণ থেকে বিরত থাকবে। এটা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চস্তরের সবার জন্যই প্রযোজ্য। আলেমদের জন্য মানহানিকর যাবতীয় বিষয়াদি থেকে বিরত থাকবে, দূরে থাকবে।

তৃতীয়ত, আত্মঅহমিকা থেকে সতর্কতার সাথে বিরত থাকবে।

চতুর্থত, অহংকার থেকে দূরে থাকবে, বরং বিনয়-নম্রতা আবশ্যকীয়ভাবে আঁকড়ে থাকবে।

পঞ্চমত, ইলম অন্বেষণে লজ্জাকে দূরে রাখবে। কারণ অতি লজ্জাশীল যেমন ইলম অর্জন করতে পারে না, তেমনি অহঙ্কারী ব্যক্তিও ইলম থেকে মাহরুম হয়। অতএব সে এই দুটি বিষয় থেকে বিরত থাকবে:
-এমন লজ্জা, যা তাকে তার প্রয়োজনীয় বিষয় জানতে ও জেনে নিতে বাঁধা দেয়।
-এমন অহংকার, যার মাধ্যমে সে নিজেকে অনেক বড় ভাবে আর অন্য মানুষকে অতি তুচ্ছ ভাবে।

ষষ্ঠত, ইলম অর্জনে যাদের সঙ্গ তার ক্ষতি করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলবে। যেমন, অলস, অকর্মণ্য ছেলেদের থেকে দূরে থাকবে; কারণ এরা তাকে নিজেদের বদভ্যাসের দিকেই টানবে। অতএব সে কেবলমাত্র সেইসব জাত্যাভিমানি ছেলেদের সাথেই উঠাবসা করবে, যারা তাকে হাত ধরে ইলম অর্জনের কষ্ট-ক্লেশময়, কণ্টকাকীর্ণ পথে চলবে, চালাবে।

সপ্তমত, সময় নষ্ট করা থেকে বেঁচে থাকবে।

ছাত্র জীবনে একজন ছাত্রকে উপরোক্ত এই বিষয়াবলী থেকে সর্বোত বিরত থাকতে হবে। এগুলো সে পালন করলে তার অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।

🪶শায়খ মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী হাফিযাহুল্লাহ।

২৮ শে সফর, ১৪৪১ হিজরী, রোববার ইশার সালাতের পর শায়খ হাফিযাহুল্লাহ বদরী আল-উতায়বী মসজিদে এই উত্তর দেন। লিখিত আকারে الأخلاق التي يجتنبها طالب العلم নামে প্রকাশ করেছেন শায়খের ছাত্র উমার নাসের আশূর ওয়াফফাকাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

ইসলাম হলো দুর্গ স্বরূপ, সাহাবীরা হলেন এর দরজা আর আলেমগণ তার প্রহরী। শত্রুরা এই দুর্গে আক্রমণ করতে চাইলে আগে প্রহরীদের দিকে তীর নিক্ষেপ করে, প্রহরীরা ধরাশায়ী হলেই তারা দরজা ভেঙে ভেতরে হামলে পড়বে। আর দুর্গের ভিতরে তারা বিকৃতি ও জালিয়াতির সয়লাব চালিয়ে দেবে।

আমাদের আলেমদের ব্যাপারে সমালোচনাকারীদের মূল কুরুক্ষেত্র হলো এটাই; অতএব আপনারা এই ব্যাপারে সচেতন হোন, আলেমদের পক্ষ হয়ে (সমালোচনাকারীদের) প্রতিবাদ করুন। কারণ আল্লাহ ও মুমিনগণ দুর্গ এবং প্রহরীদের উপরে হামলা করা মেনে নেন না।

🪶শায়খ সালেহ আল-উসয়মী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

মীলাদুন্নবী প্রসঙ্গে

ঐতিহাসিক ও আলেমদের ঐক্যমতে রাসূল ﷺ রবীউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখে মৃত্যু বরণ করেন। প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী তাঁর জন্ম হয়েছিল ১২ই রবীউল আওয়াল মাসে। অর্থাৎ একই মাস ও একই তারিখ, শুধু সাল আলাদা।
পরবর্তী গবেষকদের মতে, রাসূলের জন্মদিন সোমবার হিসেবে মিল করতে গিয়ে তা ৯ তারিখ বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

যেটাই হোক না কেন, রবীউল আওয়াল মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যু বরণ করেছেন এটা নিশ্চিত। ১২ তারিখে মৃত্যু বরণ করেছেন, এটাও সুনিশ্চিত।

এখন যদি কেউ এই তারিখকে রাসূলের জন্মদিন হিসেবে ধরে ঈদ তথা আনন্দোৎসব করে, তা কতটুকু ভালোবাসার পরিচায়ক হবে? মানুষের বিবেকেও বা কতটুকু সঠিক হবে?
বরং রাসূলের ভালোবাসাতে সত্যবাদী হলে তো শোক দিবস পালন করা উচিত ছিল।

জন্ম তারিখ ভিন্ন হলেও কি এই আনন্দোৎসব সঠিক হতে পারে? কিভাবে হবে? আরে এই মাসে তো রাসূল ﷺ মৃত্যু বরণ করেছেন! মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আপনি রাসূলের বিয়োগব্যথা ভুলছেন কিভাবে?
আপনার ভালোবাসা শূণ্যগর্ভ নয়তো?!

সাহাবীগণ কি আপনার আমার চেয়ে রাসূলকে কম ভালোবেসেছেন?! কৈ তারা তো এইরকম কোনো দিবস উদযাপন করেননি!! অথচ তারা রাসূলের জন্ম ও মৃত্যু দিন সম্পর্কে বেশি জানতেন।

দলীলের দিকে যাব না। ইসলামের সঠিক বুঝ মানুষের ফিতরাতের সাথে রাখা হয়েছে। আপনার বিবেক খাটান। টনক নাড়ান। ইনশাআল্লাহ উত্তর পেয়ে যাবেন।

আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক সমঝ দান করুন। রাসূলের ভালোবাসায় অন্তরকে পূর্ণ করে দিন। রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য করার তাওফীক দিন। আমীন।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

#রমাযান_রুটিন-০৩

আমাদের সবাইকেই নিম্নের এই কয়টি আমলের ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান হতে হবে:

১) সুন্দর ও বিশুদ্ধভাবে সিয়াম পালন করা। কারণ, রাসূল ﷺ এর ভাষ্যমতে, এভাবে সিয়াম পালন করতে পারলে পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।

২) কিয়ামুল্লাইল বা তারাবীহ। আমরা অনেকেই এটাকে নফল বলে গুরুত্বহীন করে তুলেছি। কিন্তু এর তাৎপর্য অপরিসীম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমাযানে কিয়ামুল্লাইল করতে পারলে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

৩) বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। রমাযান মাসকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে প্রধানত দুইটি বিষয় দিয়ে: এক- পুরো মাসকে সিয়ামের জন্য ফরয করে দিয়ে এবং দুই- এই মাসে কুরআন নাযিল করে। এ ব্যাপারে আমরা আগেও ইঙ্গিত দিয়েছি।

৪) বেশি বেশি দোয়া করা। আসমানের দরজা, রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয় মর্মে সহীহ হাদীস সমূহ আমরা সবাই জানি। সুতরাং, পাপ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার মতো কোনো দোয়া না হলেই তা কবুল হওয়ার মোটামুটি নিশ্চিত আশা করা যায়।

নোটঃ অনুপস্থিত মুসলিম ভাইবোনদের জন্য দোয়া করলে ফেরেশতারাও আমীন বলেন এবং আমার জন্যও অনুরূপ হওয়ার দোয়া করেন। সুতরাং, অন্যের জন্য দোয়া করতে কার্পণ্য করা উচিত নয়।

৫) সাদাকার হাত বাড়িয়ে দিন। আগে যেখানে ৫/১০ টাকা দান করতেন সপ্তাহে, রমাযান মাসে একটু এগিয়ে সেটার পরিমাণ ১৫/২০ টাকায় উন্নীত করুন; সম্ভব হলে আরো এগিয়ে যান।
সেরকম হলে কয়েকজন পরিচিত বন্ধু মিলে একটা ইফতারির ব্যবস্থা করতে পারেন, এতে যতজনকে আমরা ইফতারিতে নিয়ে আসতে পারব তাদের সবার সমপরিমাণ সওয়াব আপনারাও পেয়ে যাবেন।

৬) ইসলামী জ্ঞানার্জনে মনোযাগী হোন। ইসলামের মৌলিক জ্ঞান, ঈমানের আরকান, দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় মাসয়ালা মাসায়েল ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা বাড়িয়ে দিন।

৭) তুল্লাবুল ইলম যারা রয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ করে শরয়ী ইলম ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটা হতে পারে-
-ফজর বা অন্য কোনো ফরয সালাতের পর একটা আয়াত বা হাদীসের উপর ৫/৭ মিনিট আলোচনা। এটা প্রতিদিনও হতে পারে আবার সপ্তাহে ২/৩ দিনও করা যেতে পারে।
-সাপ্তাহিক কোনো একদিনে সবাইকে নিয়ে বসে ১৫/২০ মিনিট আলোচনা করা।
-জুময়ার খুতবার মাধ্যমে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কিস্তি কিস্তি বা পর্ব পর্ব করা উচিত নয়। এতে করে অনেকেই মাহরুম হয়ে যায়।

উপরের (৭) নং পয়েন্টের সবগুলোতেই খেয়াল রাখতে হবে:
-আমি যেন নিজে বিস্তারিত না পড়েই আলোচনায় না বসি।
-জনগণের মন মস্তিস্কের প্রতি খেয়াল রাখা, যাতে করে তাদের মাঝে বিরক্তিভাব না আসে।
-যেসব বিষয়ে বা আয়াত হাদীস আলোচনা করব, তা অবশ্যই তাদের প্রাত্যহিক জীবনে আবশ্যকীয় বিষয়ে হতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি মুস্তাহাব নিয়ে আসা যেতে পারে।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

#রমাযান_রুটিন-০১

আসন্ন রমাযান মাস উপলক্ষে আমাদের দৈনন্দিন রুটিন ঢেলে সাজানো উচিত; বিশেষ করে তুল্লাবুল ইলমের জন্য তো আবশ্যক।

সারাবছর সকালে ঘুমানোর অভ্যাস না থাকলেও এ মাসে আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায় এই ঘুম। ঠিক ফজর পর পর না ঘুমিয়ে কমসেকম এক ঘন্টা পরে ঘুমালেও তা-ও কুরআন তিলাওয়াত সহ একটু আধটু ইলম অর্জন করতে পারব।

তারাবীহ'র সালাত শুধু ইমাম ও জামাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে শেষ রাতে নিজে পড়ার জন্য কিছু রেখে দিই। তাহলে শেষ রাতে ইবাদতের মহিমান্বিত সেই সওয়াব ও মর্যাদামন্ডিত রমাযানের প্রতিদান আমরা পেয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।

কুরআন নাযিলের মাস এই রমাযান। অতএব কুরআন বেশি বেশি পাঠ করতে হবে। কমসেকম একবার হলেও কুরআন এবার শেষ করবই করব- এরকম শক্ত পাকাপোক্ত নিয়ত করতে হবে।

কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি দৈনিক ৫/১০ আয়াত করে আয়াতের অর্থ, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা রপ্ত করার চেষ্টা করব।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

সতর্ক হোন!
রমাজানে সবচেয়ে সহজ কাজ হলো, পানাহার থেকে বিরত থাকা! মায়মুন বিন মিহরান রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ “সওমের সবচেয়ে হালকা স্তর হলো, পানাহার ত্যাগ করা”।

এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ও ভারী বিষয় আছে। সেটা হলো: আপনার চোখ, কান, জিহ্বা আল্লাহর হারামকৃত বিষয় থেকে সিয়াম রাখবে তথা বিরত থাকবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় বিষয়। রাসূল ﷺ(এজন্যই) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি যূর কথা ও তদনুযায়ী আমল এবং জাহল বাদ দিতে পারল না, তার খাবার পানীয় ত্যাগ করাতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই”।
-যূর কথা হলো: হারামকৃত কথা।
-যূর অনুযায়ী আমল বলতে: সব ধরনের হারাম কাজ উদ্দেশ্য।
-জাহল বলতে বুঝায়: গুরুত্বহীন, অনর্থক বিষয়াদি, আদবের সীমারেখা লঙ্ঘন করা। যেমন, মানুষের সাথে গালিগালাজ করা, তর্ক-বিবাদ করা, হৈ হট্টগোল করা ইত্যাদি।

আবু যার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ “আপনি যখন রোজা রাখবেন, তখন সাধ্যমতো নিজেকে সংযমে রাখুন।”
জাবের রাযিয়াল্লাহ আনহু বলেনঃ “আপনি রোজা রাখলে আপনার চোখ, কান, জিহ্বাও যেন সিয়াম রাখে। আপনার রোজা রাখার দিন আর অন্যদিন যেন সমান না হয়”।

এটা তো বড় মুসিবতের কথা যে, মানুষের রোজার অবস্থা আর অন্য অবস্থা একই থাকবে! অন্য সময় যেমন চরিত্র ছিল, রোজা অবস্থাতেও তাই! অন্য সময় যেভাবে লেনদেন করত, সিয়ামের সময়েও একই! 

অতএব মুসলিম ব্যক্তির উপর আবশ্যক হচ্ছে, নিজেকে সংযত রাখা, নিজের অবস্থা খেয়াল করা, উপরোল্লেখিত সওয়াব কমতিকারী বিষয়াবলীর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা -যে বিষয়গুলো মুসলিমের সিয়াম ও দ্বীনের সমস্যা করে-। এই বিষয়গুলো কিন্তু রোজার সময়েই কিভাবে যেন জেগে ওঠে! মিডিয়া এগুলোর মাধ্যমে মুসলিম ব্যক্তির রোজার তো ক্ষতি করেই, ঈমানের ক্ষতিও করে। 

মুসলিমকে সংযমী ও হুঁশিয়ার হতে হবে। রমাজানে আল্লাহর হারামকৃত বিষয়েই যদি তার গায়রত না জাগে, তবে কখন জাগবে!? এই মিডিয়া, চ্যানেলগুলোর অবস্থা দেখে মনে হয়, এরা “রোজাদারের উপরে রোজার প্রভাব যাতে না পড়ে” সে ব্যাপারে খুব তৎপর। সূর্য ডোবা থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর এই হারামকৃত বিষয়গুলোই তারা সম্প্রচার করে যায়! আর মুসলিম ব্যক্তি চ্যানেলের সামনে বসে একেরপর এক পরিবর্তন করছে আর দেখছে! হায় আফসোস! অথচ সে যে তার রোজার সওয়াবই কম করছে তার খেয়াল নেই! 
কেননা, ভালো আমলের সওয়াব কমাতে পাপের বড় প্রভাব আছে, নতুনভাবে আরো পাপ অর্জিত হয়, পাশাপাশি সিয়ামের সওয়াবও বিনষ্ট হয়।

✍️শায়খ সালেহ সিন্দী হাফিযাহুল্লাহ।
(১১/০৩/২০২৪ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

হঠাৎ করেই আপনার বাবা মা মৃত্যু বরণ করবেন। তারপর আপনার অনুভূতি হবে:
-আপনি খুবই একা একা জীবন মরুতে ঘুরছেন!
- পিতা-মাতাহীন ইয়াতীম আপনি!
- খুবই ঠাণ্ডা অনুভূত হবে, কারণ উষ্ণতা যে তাদের সাথেই বিদায় নিয়েছে!
- ক্ষুৎপিপাসায় ভুগবেন, পরিতৃপ্তি তাদের দুজনের সাথেই চলে গেছে যে!
- নিজেকে লাঞ্ছিত অবাঞ্ছিত মনে হবে, সম্মান যে তাদের সাথেই কবরে গেছে!
- নিজেকে খুবই দুর্বল মনে হবে, শক্তিমত্তা যে তারা নিয়ে গত হয়েছেন!

উপরের সব অনুভূতিই আপনার হবে, স্বীকার করুন আর নাই করুন।

সেই সময় শুধু তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা, সদ্ব্যবহার এবং তাদের অভাব আপনার মনে জাগবে। এছাড়া কিছুই করার থাকবে না। অন্যথায় আপনি খুবই ধিকৃত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হবেন।

পিতা-মাতার সাথে আপনার জীবনের কোনো অর্জনই তুলনীয় হবার নয়!
যতই আপনি অহংকার করুন, যতই ধৃষ্টতা প্রদর্শন করুন, যতই ব্যস্ততার অজুহাত দেখান না কেন!

আয় আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার বাবা মায়ের সেবা করার এবং তাদের সাথে উত্তম আচরণ করার তাওফীক দিন।

মাবুদ ওগো! তারা ছোট্টবেলায় আমার প্রতি যেমন করুণা করেছে, তেমনি তুমিও তাদেরকে তোমার দয়ার চাদরে ঢেকে নাও।

✍️শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

চারটি বিষয় আকড়ে ধরতে পারলে আপনার:
-অন্তর নরম হবে,
-আপনার জীবন পরিশুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ,
-আল্লাহর কাছাকাছি হতে পারবেন,
-আল্লাহও আপনার সাথে থাকবেন।
যত বৃদ্ধি করবেন, আপনার সফলতাও তত বাড়বে।

সেই চারটি বিষয় হলো:
১) কুরআন তিলাওয়াত।
২) আল্লাহর জিকির।
৩) একনিষ্ঠভাবে কবুলের দৃঢ় আশা নিয়ে দোয়া করা।
৪) রাসূল ﷺ, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী, ইমাম চতুষ্টয় সহ সব সালাফদের জীবনী অধ্যয়ন করা।

✍️শায়খ সুলায়মান আর-রুহায়লী হাফিযাহুল্লাহ।
(২৬/১২/২০২৩ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

প্রশ্ন: আমরা কেন খ্রিষ্টানদেরকে তাদের ধর্মীয় উৎসব/অনুষ্ঠানগুলোতে অভিনন্দন জানাতে পারব না? অথচ তাদের অনেকেই আমাদের ধর্মীয় উৎসব/অনুষ্ঠানে আমাদের অভিনন্দন জানায়?

জবাব:
প্রথমত: সকল আলেমের ঐক্যমতে কাফেরদের (ইহুদি ও খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী) ধর্মীয় উৎসবগুলোতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো হারাম:
১) এই সব উৎসবগুলোতে তাদের অভিনন্দন জানানো হারাম।

২) যে কোনো মাধ্যমে (যেমন অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি মাধ্যমগুলো দিয়ে) তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে উপস্থিত হওয়া বা যুক্ত হওয়া হারাম।

৩) তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব জিনিস সাহায্য-সহযোগিতা করে যেমন: বিভিন্ন ধরণের খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ, প্রতীক-ব্যাজ সহ অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম।

৪) তাদের এইসব উৎসবকে কেন্দ্র করে কোনো কিছু হাদিয়া বা উপহার (গিফট) দেওয়া হারাম।

৫) তাদের এইসব উৎসব উদযাপনের জন্য হোটেল, মিলনায়তন, কমিউনিটি হল, শামিয়ানা বিশিষ্ট ক্যাম্প, প্রশস্থ মাঠ‌ সহ রেষ্টুরেন্টসমূহ ভাড়া দেওয়া হারাম।

৬) মুসলিম দেশে তাদের উৎসবের ফলাও করে প্রচারণা নিষিদ্ধ।

দ্বিতীয়ত: আমরা কোনো খ্রিষ্টানকে তার ধর্মীয় উৎসবে অভিনন্দন জানাবো না, কারণ সেখানে তারা শিরক ও কুফরীমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। যেমনটি দেখা যায় ঈসা ইবনে মারয়াম আলাইহিস সালামকে প্রভুত্বের স্থান দেওয়া, তাকে আল্লাহর পুত্র সাব্যস্ত করা এবং আল্লাহর ব্যপারে ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করা (العياذ بالله )। তাদের এই কুফরী মতবাদ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সূরা মারয়ামের ৯০ নং আয়াতে বলেনঃ ﴾যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর যমীন খণ্ড-বিখণ্ড এবং পর্বতমণ্ডলী চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে। এজন্য যে তারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে।﴿

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে “কোনো কষ্টের কথা শুনার পর আল্লাহর থেকে অধিক ধৈর্যশীল কেউ নেই। কেননা যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে এবং তার প্রতি সন্তান আরোপ করে এরপরেও তিনি তাদের সুস্থ রেখেছেন এবং রিযিকদান করছেন” [সহীহ মুসলিম]

শরয়ীভাবে এবং যুক্তিগতভাবে এটা প্রমাণিত যে, মদ্যপান, চুরি, ব্যাভিচার, মানুষের প্রতি জুলুম, পিতা-মাতার অবাধ্যতা সহ অন্যান্য পাপের জন্য কাউকে সম্বর্ধনা দেওয়া জায়েয নেই। অথচ এরচেয়েও অধিক জঘন্য, গুরুতর পাপের কাজ হচ্ছে এই সমস্ত উৎসবগুলোতে অভিনন্দন জানানো যেখানে আল্লাহ ছাড়া বাতিল মা'বুদ সাব্যস্থ করা হয়, আল্লাহর প্রতি সন্তান আরোপ করা হয়।

তৃতীয়ত: তবে কাফেরদের কেউ কোনো মুসলিমকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা (ধর্মীয় উৎসবে) যদি অভিনন্দন জানায়, এটা তো দোষের কিছু নয়; কারণ সে তো শরীয়তসম্মত সঠিক উৎসবের প্রতি অভিনন্দন জানাচ্ছে। যেখানে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, আনুগত্য এবং তার প্রতি ঈমান স্বীকার করা হয়।
হকের সম্বর্ধনা কোনো মতেই বাতিলের সমর্থনের সাথে তুলনা করা যাবে না।
তাছাড়াও এই বাতিল যদি আবার মহান আল্লাহর রুবূবিয়্যাতের সাথে সম্পৃক্ত হয়, আল্লাহর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করা হয় এবং তার সাথে আরো স্রষ্টা শামিল আছে বলা হয়; তাহলে অবস্থা কেমন দাঁড়াবে!?

✍️শায়খ আব্দুল কাদের জুনাইদ।
অনুবাদ: জালালুদ্দিন বিন আবু বকর।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

বুদ্ধি ও শুদ্ধি দুই চোখের ন্যায়। এই দুটির পূর্ণাঙ্গতায় কারো অবস্থা পূর্ণ হয়, আবার কমতিতে হয় ত্রুটিযুক্ত।

শুদ্ধির স্বচ্ছতা ছাড়া বুদ্ধির দুর্বরতা কখনো কল্যাণকর হয় না। কারণ এই বুদ্ধির দুর্বরতা মানুষকে আত্মপ্রবঞ্চনায় লিপ্ত করে, মন্দ সিদ্ধান্তে উপনীত করে; কেননা সে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধকারী ও মন্দ থেকে বাধাদানকারী আত্মিক পরিশুদ্ধতা হারিয়ে ফেলেছে!

অতএব সুসংবাদ ঐসব শুদ্ধ বুদ্ধির অধিকারী লোকদের জন্য।

✍️শায়খ সালেহ আল-উসয়মী হাফিযাহুল্লাহ।
(১৫/১১/২০২৩)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

কোনো মুমিনের অন্তরে একই সাথে সাহাবীদের প্রতি ভালোবাসা এবং সাহাবীদের গালমন্দকারী ও তাদের বিদ্বেষীদের প্রতি ভালোবাসা একত্রিত হতে পারে না।
বিপরীতধর্মী দুটি বিষয় যেমন এক হয় না!

সাহাবীদের ভালোবাসা, তাদের উত্তম কর্মগুলি উল্লেখ পূর্বক তাদের জন্য রহমতের দোয়া করা, মাগফিরাতের দোয়া করা এবং তাদের মন্দ বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা ঈমানের অঙ্গ।
বিপরীতে তাদেরকে গালিগালাজ করা ও বিদ্বেষ রাখা কুফরী ও নিফাকি কাজ। এ ব্যাপারে অনেক দলীল আছে। তন্মধ্যে:
১) আনাস বিন মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ﷺ আনসারদের ব্যাপারে বলেছেনঃ "একমাত্র মুমিন ব্যক্তিই তাদের ভালোবাসবে এবং কেবল মুনাফিক ব্যক্তিই তাদের ঘৃণা করতে পারে।"

২) আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকেই বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেনঃ "ঈমানের আলামত হলো আনসারদের ভালোবাসা, আর নিফাকের আলামত হলো আনসারদের ঘৃণা করা।" -(বুখারী ও মুসলিম শু'বা রহিমাহুল্লাহর সূত্রে বর্ণনা করেছেন)

৩) রাসূল ﷺ আরো বলেছেনঃ "আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনা কেউ আনসারদের ঘৃণা করতে পারে না।" -(মুসলিম)

৪) আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেনঃ "নিম্নোক্ত চারজনকেই ভালোবাসা কেবল মুমিন ব্যক্তির মাঝে মিলিত হতে পারে: আবু বকর, উমার, উসমান ও আলী।"

হাম্মাদ ইবনু সালামা বলেন, আইয়ুব আস-সাখতিয়ানী বলেনঃ "আবু বকর সিদ্দিককে যে ভালোবাসবে সে দ্বীনকে ঠিক রাখবে। উমারকে ভালোবাসবে যে, সে সঠিক পথ পাবে। উসমানকে ভালোবাসলে দ্বীনের নূরে আলোকিত হবে। আর আলীকে ভালোবাসলে সে শক্ত হাতল ধরতে পারবে। আর যে ব্যক্তি সাহাবীদের ব্যাপারে উত্তম কথা বলবে, সে নিফাকি থেকে মুক্ত হবে।"

✍️শায়খ আব্দুস সালাম আস-সুহায়মী হাফিযাহুল্লাহ।
(০৬/১১/২০২৩ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

যে ব্যক্তি ধারণা করে, আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত নয় এমন কেউ আক'সাকে মুক্ত করবে এবং ফি'লি'স্তিনে থাকা আমাদের ভাইদের সাহায্য করবে; সে শরীয়ত বিষয়ে যেমন অজ্ঞ তেমনি বাস্তবতা সম্পর্কেও মূর্খ। (কারণ) আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন সবার কাছে আহলুস সুন্নাহর রক্ত ইয়া'হুদীদের রক্তের চেয়েও সুপেয়।

আপনারা অতীত ইতিহাসকে এবং ঘটমান ব্যথাতুর ঘটনাকে জিজ্ঞাসা করুন।

হে ভাইয়েরা আমার -যে যেখানেই থাকুন- আক'সা নিয়ে খেলোয়াড়দের দেখে ধোঁকা খাবেন না এবং মুসলমানদের আবেগ নিয়ে তামাশায় লিপ্ত লোকদের দেখেও প্রতারিত হবেন না।
আপনারা (বরং) সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরুন, আহলুস সুন্নাহর সাথে নিজেদের জুড়ুন।

✍️শায়খ সুলায়মান আর-রুহায়লী হাফিযাহুল্লাহ।
(০৪/১১/২০২৩ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

দ্বিতীয় খুতবা

আল্লাহরই প্রশংসা তাঁর নিয়ামতের, তাঁর তাওফীক ও অনুগ্রহের জন্য তাঁরই কৃতজ্ঞতা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল, যিনি তাঁর রবের সন্তুষ্টির দিকে আহ্বান করেছেন। আল্লাহ তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীদের প্রতি এবং তাঁর মুসলিম ভাইদের প্রতি দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন।

অতঃপর,
আল্লাহকে ভয় করুন, সরল সঠিক পথকে আঁকড়ে ধরুন। বক্র পথ থেকে বিরত থাকুন, ভ্রান্ত মতাদর্শ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ "আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।" -(সূরা আন'আম, ১৫৩)

সঠিক পথ আঁকড়ে ধরার অন্যতম দিক হলো, উম্মাহর শান্তি ও ভীতির বিষয়াবলী শাসকদের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং সেসবে আগ না বাড়ানো। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ "আর যখন তাদের কাছে শান্তি কিংবা ভীতিজনক কোন বিষয় আসে, তখন তারা তা প্রচার করে। আর যদি তারা সেটি রাসূলের কাছে এবং তাদের কর্তৃত্বের অধিকারীদের কাছে পৌঁছে দিত, তাহলে অবশ্যই তাদের মধ্যে যারা তা উদ্ভাবন করে তারা তা জানত। আর যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর রহমত না হত, তবে অবশ্যই অল্প কয়েকজন ছাড়া তোমরা শয়তানের অনুসরণ করতে।" -(সূরা নিসা, ৮৩)

কারণ শাসকরা, কর্তৃত্বশীলরা (أهل الحل والعقد) জনসাধারণের চেয়ে তাদের সবার জন্য‌‌‌ উপকারী বিষয়ে বেশি জানেন এবং কোনটা করা সম্ভব আর কোনটা সম্ভব না সেটাও তারা ভালো বোঝেন। জনসাধারণ যেমন আবেগ ও জোশের বশবর্তী হয়ে কোনো বিষয়ের গভীরতা উপলব্ধি করতে পারে না এবং তার আগেপিছে কি অবস্থা হতে পারে তা ভাবে না, শাসক ও কর্তৃত্বশীলরা এরকম করেন না।

উপরোক্ত বিষয়াদি শাসকদের দিকে প্রত্যাবর্তন না করানোর অন্যতম কুফল হলো, কিছু লোক শাসককে কোনো বিষয়ে সশস্ত্র অংশগ্রহণ করতে বলে। সরকার অনুপ্রবেশ না করলেই তারা সরকারকে কা'ফের, মু'রতাদ ইত্যাদি বলতে থাকে, কারণ সরকার তাদের কথামতো ঐ বিষয়ে সাহায্য করেনি! মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে!! তো তারা এই ধরনের পরিস্থিতিকে তা'কফীর ও জনগণকে উস্কে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা শুরু করে, সম্পূর্ণ ইলমহীন ও হেদায়েতহীন পন্থায়।
আপনারা তাদের থেকে সতর্ক থাকুন। আমাদের ও আপনাদের জন্য তাদের খারাবির মোকাবেলায় আল্লাহ যথেষ্ট হয়ে যান।

হে আল্লাহ! আপনি ইসলাম ও মুসলিমদের সম্মানিত করুন, শিরক ও মুশরি'কদের অপদস্থ করুন। আপনার দ্বীনের শত্রুদের ধ্বংস করে দিন, আপনার তাওহীদবাদী বান্দাদের আপনি সাহায্য করুন।

প্রতিপালক! আপনি এই দেশকে এবং সব মুসলিম দেশকে নিরাপদ আবাসস্থল বানিয়ে দিন।
আয় আল্লাহ! আপনি আমাদের শাসক ও তার ওলীউল আহদকে তাওফীক দিন, তাদের সৎ কল্যাণকামী উপদেষ্টা দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ক্ষমা করুন এবং ঐসব ভাইদের ক্ষমা করুন যারা আমাদের পূর্বে ঈমানের সাথে গত হয়েছেন। আমাদের অন্তরে মুমিনদের প্রতি কোনো বিদ্বেষ রাখবেন না। আপনি তো পরম দয়ালু ও অনুগ্রহশীল।

আয় মাবুদ! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দিন এবং আখিরাতের কল্যাণ দিন। জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের বাঁচান।

ইজ্জতের প্রতিপালক আপনি মহাপবিত্র তারা যেসব কদর্য গুণ বলে থাকে তা থেকে। নবী রাসুলদের উপর সালাম বর্ষিত হোক। প্রশংসা সবই আল্লাহর জন্য।

🎙️শায়খ আলী বিন ইয়াহিয়া আল-হাদ্দাদী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

আলহামদুলিল্লাহ, বইটি বের হয়েছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

এই প্রশ্নটা এখন খুব হচ্ছে যে, ফি'লি:স্তিনে ঘটমান পরিস্থিতিতে শরয়ী অবস্থান কি হবে?

উত্তরঃ দুই ধরনের শরয়ী মাসয়ালায় তালেবে ইলমের কেউই ফতোয়া দেবে না, বরং সেগুলো গভীরতাসম্পন্ন আলেমদের সাথে সম্পৃক্ত:
১) পূর্বের কোনো আলেমের কথা নেই, এমন কোনো উদ্ভূত মাসয়ালা। যেমন, অঙ্গ দান করা ইত্যাদি।
২) এমন ব্যাপক বিষয় যা পুরো উম্মাহর সাথে সম্পৃক্ত, নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিবর্গের সাথে নয়।

চলমান ঘটনাবলী এই দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত। অতএব শরয়ী দিকের ক্ষেত্রে আলেমদের উপর ছেড়ে দিতে হবে আর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের উপর ছেড়ে দিতে হবে।

কিন্তু এটা তাকে মুসলিমদের সমব্যথী হতে, তাদের সাহায্যের জন্য দোয়া করতে প্রতিবন্ধক নয়। এই মুসলিমের মাঝে যত বিপরীত মতামতই থাক না কেন, বিদ্বেষ ও বিদয়াত থাক না কেন; তারপরেও সে অবশ্যই নবীদের হত্যাকারী সবচেয়ে নিকৃষ্ট ই"হু'দী জাত থেকে হাজারবার ভালো।

শায়খুল ইসলামকে রাফেযীদের উপর ই'হুদী ও খৃ"ষ্টানদের প্রাধান্য দেওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা নাকচ করে বলেনঃ "মুহাম্মাদ ﷺ কর্তৃক আনীত দ্বীনকে বিশ্বাসকারী ব্যক্তি কাফেরদের চেয়ে উত্তম, যদিও সেই মুসলিমের মাঝে বিদয়াত থাকে; সেই বিদয়াতটা খারেজীদের বিদয়াত, শীয়াদের বিদয়াত, মুরজিয়াদের বিদয়াত বা আর যে ধরনেরই হোক না কেন।"

মুসলিম ব্যক্তি এই দোয়া বারংবার পড়তে মোটেও ভোলে না: হে আসমান জমিন সৃজনকারী আল্লাহ....তারা হকের বিষয়ে যেসব বিভ্রান্তিতে নিপতিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করো।

অতএব ফিতনার সময়ে একজন মুসলিমের জন্য দোয়াই একমাত্র ভরসা এবং মজবুত দুর্গ।

✍️শায়খ ইবরাহীম আল-মুহায়মীদ হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

শেষ জামানায় বাস্তব অবস্থা উল্টো হয়ে যাবে: আলেমকে ছেড়ে জাহেলকে ফতোয়া জিজ্ঞেস করা হবে। সত্যবাদীকে মিথ্যুক ও মিথ্যাবাদীকে সৎ বলা হবে। আমানতদার ব্যক্তিকে খিয়ানতকারী এবং বিশ্বাসঘাতককে নিরাপদ মনে করা হবে।

যারা নিজেরাও এগুলোর সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে যাবে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
আর যে প্রমাণিত সত্যের উপর অটল থাকবে, সে সফলকাম।

🪶শায়খ সালেহ আল-উসয়মী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

"চতুর্মুখী ফিতনা: বাঁচব কিভাবে" বইটি নতুন ধাঁচে সম্পাদিত হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
বিস্তারিত:
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid02cp5aiDKkq8eqadTVUpxUSheFjSZgEWoepn6hANfVqkMBdQ8ir2NMvaEw3PxUfjnNl&id=100052095526116&mibextid=Nif5oz

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

🚦জ্যোতির্বিদ্যা ও পত্রিকার রাশিফল সম্পর্কে

জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যবহারের দিক থেকে মানুষ সাধারণত তিনভাগে বিভক্ত:
১) গ্রহ, নক্ষত্র, তারকা ইত্যাদি সৃষ্টিজগতে ঘটমান ঘটনাগুলোর উপর প্রভাব বিস্তারকারী। অমুক তারকার কারণে এই ঘটনা ঘটছে! এই ধরনের বিশ্বাস রাখা।

এই প্রকারটি কুফরে আকবার নিঃসন্দেহে এবং সব আলেমের ঐক্যমতে। এটা করত সাবেয়ীরা, পাশাপাশি তারা বিভিন্ন তারার ছবি লটকিয়ে রাখত বা ভাস্কর্য নির্মাণ করত। শয়তান এগুলোর মাঝে ঢুকে তাদেরকে এইসব মূর্তির পূজা করতে বলত।

২) বিভিন্ন তারকার উদয় অস্ত দেখে ভবিষ্যতে কি ঘটবে না ঘটবে সেগুলো বলার ও জানার দাবি করা।

এ প্রকারটি হারাম ও কাবীরা গুনাহ, ক্ষেত্রবিশেষে কুফর। মূলত শয়তান এদেরকে বিভিন্ন রকমের কথার যোগান দেয়। বাস্তবতা এদের অনেক কথাকেই মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।

৩) অভিজ্ঞতা ও প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন তারকার উদয়ে দিক নির্ণয়, সময় নির্ধারণ, চাষাবাদের সময় নির্ণয় করার পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা। যেমনটি আল্লাহ বলেন: "আর তারা তারকার মাধ্যমে পথ খুঁজে পায়।" -(সূরা নাহল, ১৬)

পূর্বের গুলো আর এটার মাঝে মৌলিক পার্থক্য হলো: আগেরগুলোতে তারকাই মূল প্রভাবক ছিল। কিন্তু তৃতীয় প্রকারে একটা আলামত হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে মাত্র, প্রভাবক হিসেবে নয়।

🪷 বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ যে ব্যাপারে উদাসীন, অথচ সেটা হারাম জ্যোতির্বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত। সেটা হলো: বিভিন্ন পত্রিকায় থাকা "রাশিফল"। তারা এর জন্য হয় পুরো পৃষ্ঠা নয়তো অর্ধেক হলেও বরাদ্দ রাখে। এটা তো এক প্রকার গণকী। পত্রিকায় এর অস্তিত্ব থাকার অর্থ হলো: গণক ও জ্যোতিষীর অস্তিত্ব রয়েছে এখনো সমাজে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ নেই, কোনো প্রতিবাদ নেই!

যদি কোনো ব্যক্তি এমনিতেই এগুলো দেখে, তাহলে সে যেন গণকের কাছেই গেল!
আর যদি কেউ নিজের জন্ম তারিখ বা পরিচিতজনের জন্ম তারিখ জেনে অথবা নিজেদের উপযোগী রাশি জেনে তা পড়ে, তবে সে যেন গণককেই জিজ্ঞাসা করল! এই কারণে তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল হবে না।

আর যদি কেউ এগুলো বিশ্বাস করে, তবে সে যেন আল্লাহর রাসূলের উপর অবতীর্ণ কিতাবকে অস্বীকার করল।

উপরোক্ত বিষয়টা আপনাকে তাওহীদের গুরবাত, এই "কিতাবুত তাওহীদ" না পড়ার, না বোঝার অপ্রতুলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে। প্রতিটা মুসলিমকে এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। জেনেশুনে নিজেদের বাড়িতে এসব প্রবেশ করানো যাবে না, কারণ তার মানে হলো আপনি গণকীকে আপনার বাড়িতে ঢোকালেন! আর এটা তো কাবীরা গুনাহ।

অতএব প্রতিটা মুসলিমকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে, এগুলো বর্জন করতে হবে, সাধ্যমতো ছিঁড়ে ফেলতে হবে। যাতে করে গণক ও জ্যোতিষীরা ব্যর্থ হয়।

বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্ত গণকদের ঘাঁটি আছে। ঐসব ঘাঁটিতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

সুতরাং ছাত্রদের উপর আবশ্যক হলো: জনসাধারণের উদ্দেশ্যে দেওয়া খুতবা, নামাজের পরের দুই চার কথায়, মোটকথা যথাসম্ভব সর্বাবস্থায় তাদেরকে এইসব রাশিফল সম্পর্কে সঠিকটা জানাবে। কারণ এটা অনেক বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে গেছে, এর বিপক্ষে আওয়াজ নিতান্তই কম, মানুষের সচেতনতাও এক্ষেত্রে খুব নগণ্য। আল্লাহই উত্তম সাহায্যকারী।

📚আত-তামহীদ শরহে কিতাবিত তাওহীদ, শায়খ সালেহ আলুশ শায়খ হাফিযাহুল্লাহ। ৩২৯-৩৩৪ পৃষ্ঠা।

Читать полностью…
Subscribe to a channel