dawahsalafiyyahbd | Unsorted

Telegram-канал dawahsalafiyyahbd - আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

2571

Subscribe to a channel

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

আল্লাহ ফুল সৃষ্টি করেছেন, যে ফুল তার নিজ স্থান থেকেই আমাদের  সুগন্ধে সুরভিত করে। যদি এই ফুলকেই তার জায়গা থেকে ছেঁড়া হয়, তবে কিন্তু সে শুকিয়ে যাবে, তার সৌরভ হারিয়ে ফেলবে এবং নষ্ট হয়ে যাবে। 

মেয়েদেব ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আল্লাহ মেয়েদেরকে পুরুষদের প্রশান্তি ও সহায়ক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এই বৈশিষ্ট্য থেকে বের হলেই সে তখন হয়ে যাবে পুরুষের দুর্ভাগ্যের কারণ; আল্লাহ বলেন:  “সুতরাং সে যেন তোমাদের উভয়কে জান্নাত থেকে কিছুতেই বের করে না দেয়, তাহলে তোমরা দুর্ভোগ পোহাবে”। (সূরা ত্বহা, ১১৭) 

এই দুনিয়াতে আল্লাহর জাগতিক কিছু রীতি আছে, যেগুলোর কোনো পরিবর্তন আপনি দেখতে পাবেন না। তো সেই রীতিগুলোর অন্যতম একটি হলো: যে যেজন্য সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য সেটাই সহজ হবে।
আর মেয়েদেরকে তাদের সৃষ্টির মৌলিক উদ্দেশ্য থেকে বের করা মানে তাদেরকে আল্লাহর এই জাগতিক রীতি থেকেই বের করা; যেটা তাকে সহ পুরো সমাজকে নষ্ট করে দেবে।

✍️শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

যারা (বিদ'আতকে দুইভাগে ভাগ করে) বিদ'আতে হাসানাহ সাব্যস্ত করতে চায়, তাদেরকে বলা হবে: তুমি কিভাবে বুঝলে যে এটা হাসানাহ?
-যদি বলে, শরীয়তের আলোকে জেনেছি;
তাহলে আমরা বলব: তুমি তো শরীয়তের সুসাব্যস্ত সুন্নাত পালন করছ, তার মানে এটা বিদ'আতই নয়।

-আর যদি বিবেকের মাধ্যমে জানার দাবি করে;
তবে আমরা বলব: এটা তো প্রত্যাখ্যাত, কারণ এর মাধ্যমে দ্বীনের মাঝে নবাবিষ্কার ঘটে। আর হাদীসের ভাষ্য হলো: “আমাদের এই দ্বীনে যারা নতুন কিছুর সৃষ্টি করবে, তা প্রত্যাখ্যাত”।

🖋শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

গত রমজানে প্রকাশ করার ইচ্ছা ছিল, ব্যস্ততায় পিছিয়ে কুরবানীর ছুটিতে নিলেও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন সংক্ষিপ্তভাবে মূল বই প্রকাশ করা হলো। আল্লাহ চাইলে বড় আকারে সামনের সংস্করণে প্রকাশ করা হবে। আল্লাহ তাওফীক দিন।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

🚦 গায়রুল্লাহর শাসন বিষয়ক সামাহাতুল মুফতী মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম রহিমাহুল্লাহ-র মতামত‌‌‌ কেমন ছিল?

সংশয়ঃ এক অবস্থা, দুই অবস্থা বা কিছু মাসয়ালায় গায়রুল্লাহর হুকুম দিয়ে বিচার করলে সেটা কুফরে আসগর হয়, এটা প্রায় আহলুস সুন্নাহর ইজমায়ী মতামত। কিন্তু যে ব্যক্তি সংবিধান প্রণয়ন করে মানুষকে সে অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে, অধিকাংশ মুসলিম দেশগুলোতে বর্তমানে যেরকম চলছে, এটা তো কুফরে আকবার। যেমনটা বলেছেন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম রহিমাহুল্লাহ এবং সালেহ আলুশ শায়খও এটাকেই পছন্দনীয় বলেছেন, বেশি সম্ভব উসূলুস সালাসা ও কিতাবুত তাওহীদের শরহে।

🔖খন্ডনঃ
এই সংশয় বিদূরণে আমি বলছি:
(প্রথমে) তর্কের খাতিরে আপনার বুঝমতো উপরোক্ত কথাকে সামাহাতুশ শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম রহিমাহুল্লাহ এবং শায়খ সালেহ আলুশ শায়খ‌‌‌ সাল্লামাহুল্লাহ-এর দিকে নিসবত সঠিক ধরে উত্তর দিতে গিয়ে বলব:
জেনে রাখুন, -আল্লাহ আপনাকে হক কবুল করতে ও হকের দিকে ফিরে আসার হেদায়েত দিন- রাসূল ﷺ শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে আমাদেরকে সেসময়ই বৈধতা দিয়েছেন যখন "আমরা তার থেকে স্পষ্ট কুফরী দেখতে পাব, যেটার ব্যাপারে আমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল থাকবে"; এই বাক্যটি সহীহতে (বুখারী মুসলিমে) উবাদা বিন সামেত রাযিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে এসেছে।

কোনো শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:
১) "যতক্ষণ না তোমরা দেখতে পাবে", অর্থাৎ একদম চোখে দেখার মতো নিশ্চিতভাবে আমাদের কাছে প্রমাণিত হতে হবে।
২) এই প্রমাণিত হওয়াটা ঐক্যবদ্ধতার ভিত্তিতে হতে হবে, কারণ হাদীসে বহুবচনের ওয়াও রয়েছে।
৩) শাসকের থেকে সঙ্ঘটিত ও আমাদের দেখা বিষয়টা অবশ্যই "কুফর" হতে হবে, কাবীরা গুনাহ বা এমনি গুনাহ হলে চলবে না।
৪) "বাওয়াহ" তথা সুস্পষ্ট হতে হবে।
৫) "তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল থাকতে হবে", অর্থাৎ এ ব্যাপারে মতভেদ থাকা চলবে না।

আপনি যদি রাসূলের "তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল থাকতে হবে" এই কথার দিকে দৃষ্টি দেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে, এর মর্মার্থ হলো: কোনো বিষয় যদি কুফরী কি কুফরী না- এটা নিয়ে মতভেদ হয় তাহলে সে বিষয় নিয়ে শাসককে তাকফীর করা জায়েয নয়।

আর যে মাসয়ালা আপনি সামাহাতুল মুফতী মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম -আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন ও ইল্লিয়্যীনে তার দরজা বুলন্দ করুন- এবং তার নাতি ফজিলাতুশ শায়খ সালেহ আলুশ শায়খের দিকে নিসবত করেছেন সেটি তাকফীর বিত-তাশরী'ইল 'আম তথা "ব্যাপকভাবে গাইরুল্লাহর বিধান প্রণয়ন করা"নামে পরিচিত। এটা নিয়ে আলেমদের মাঝে মতভেদ আছে।

সামাহাতুশ শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রহিমাহুল্লাহকে (আদ-দাম'আতুল বাযিয়্যাহ ক্যাসেট দ্রষ্টব্য) একই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি গায়রুল্লাহর বিধান দিয়ে বিচার করা এবং তাশরী'উল 'আম তথা ব্যাপকভাবে গাইরুল্লাহর বিধান প্রণয়ন করা-এর মাঝে কোনো পার্থক্য করেননি, বরং তিনি দুটোর ক্ষেত্রে একই হুকুম লাগিয়েছেন। একই কথা বলেছেন ইবনু উসায়মীন ও আলবানী রহিমাহুমাল্লাহ!
এটা দেখে কিছু লোকের মাথা বিগড়ে গেছে, ফলে তারা এই তিন শায়খকে সালূসুল ইরজা (ثالوث الإرجاء) তথা "মুরজিয়া ত্রয়" বলে বিদ্রুপ করে থাকে। আল্লাহ বিদ্রুপকারীদের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।

বিন বায, ইবনু উসায়মীন ও আলবানী রহিমাহুমুল্লাহ-র মতামতই পোষণ করেন তার জুমহুর ছাত্র।

এর অর্থ হলো, তাকফীর বিত-তাশরী'ইল 'আম তথা ‘ব্যাপকভাবে গাইরুল্লাহর বিধান প্রণয়ন করা’ মাসয়ালাটিতে যেকোনোভাবে বিরোধী ব্যক্তি মুতাআওয়িল তথা উপযুক্ত ব্যাখ্যাকারী, আর তাআওয়ুল তথা উপযুক্ত ব্যাখ্যা করা তো তাকফীরের অন্যতম প্রতিবন্ধক বিষয়। মানে মাসয়ালাটিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল নেই। অতএব এই কারণে শাসকদের তাকফীর করা জায়েয নেই।

আমি আগেই বলেছিলাম যে, আমার উপরোক্ত কথাগুলো মূলত আপনি সামাহাতুশ শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম এবং শায়খ সালেহ আলুশ শায়খের কথাগুলো সঠিকভাবে বুঝেছেন- তর্কের খাতিরে এটা মেনে নিয়ে বলা হয়েছে। নচেৎ আমার মতে তাদের দুজনের কাছে তাকফীর করার মূল কারণ তাশরী'উল 'আম তথা ‘ব্যাপকভাবে গাইরুল্লাহর বিধান প্রণয়ন করা’ নয়, কারণ কুফরী বিষয়ের কম আর বেশির মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
উদাহরণস্বরূপ, যে স্বেচ্ছায় জেনেশুনে অন্যের থেকে বাধ্য না হয়ে কোনো নবীকে হত্যা করে, সে তো কাফের ঐ ব্যক্তির মতোই যে অনেক নবীকে হত্যা করে। এক্ষেত্রে একজন নবীকে হত্যা করা আর কয়েকজন নবীকে হত্যা করার মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।

জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধ্য না হয়ে কেউ কুরআন পদদলিত করলে সে কাফের। একইভাবে পদদলিত করার পাশাপাশি কয়েকবার কুরআনের উপর লাফালাফি করলেও সে কাফের। এক্ষেত্রে একবার বা একাধিকবার করার মাঝে কোনোই তফাৎ নেই। কারণ কাজটা কুফরী, শর্ত পূরণ হলে এবং প্রতিবন্ধকতা দূর হলে তাকে তাকফীর করা হবে; কম বা বেশির মাঝে কোনো পার্থক্য করা হবে না।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য বহুলপ্রতীক্ষিত উপহার—

বইয়ের নাম : আকিদা ওয়াসিতিয়্যা ও তার ব্যাখ্যা
মূল লেখক : শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ
ব্যাখ্যাকার : ইমাম ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ
ভাষান্তর : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৪১০

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

“সুধারণা” সামাজিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ইসলাম প্রদর্শিত একটি সুদৃঢ় ভিত্তি।

কিন্তু যদি কেউ চায় যে লোকজন তার সম্পর্কে সুধারণা রাখুক, সেও যেন মানুষকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে।
অতএব সে :
-সন্দেহজনক অবস্থান থেকে দূরে থাকবে।
-সংশয় উদ্রেককারী বিষয় পরহেয করে চলবে।
-ভালো প্রকাশ করবে ও মন্দ ঢেকে রাখবে।
-মানুষকে তার নিজের ব্যাপারে, দ্বীনদারিতার ব্যাপারে এবং চরিত্রের বিষয়ে ভালো দিকগুলোই কেবল দেখাবে।

উপরের আলোচনা বুঝে থাকলে বলুন তো, আমরা তাদের সম্পর্কে কিভাবে সুধারণা রাখব যাদেরকে আমরা শুধু দেখতে পাই যে, তারা:
-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, ইসলাহ নয়।
-বিভেদ সৃষ্টি করছে, মেলবন্ধন নয়।
-অন্যের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ায়।
-অন্যের পদস্খলনের অপেক্ষায় থাকে।
-ইসলামের শত্রুদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নে সহায়তা করে (হতে পারে অজান্তেই!)
-ভালোর দা'ঈদের আশান্বিত বিষয় থেকে বিরত রাখে।
-সংশোধনকামী লোকের কোনো জিম্মাও তারা রক্ষা করে না, আমানতেরও হেফাজত করে না।
-আলেমদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে না।
-নাস্তিকদের প্রচারিত কথার সামনে করে মস্তকাবনত। “তাদের ভাই” ও “তাদের মতের লোকে” ভুল করলেও চতুর্দিক থেকে তাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখে!
-ভুল আছে এমন কোনো মুসলিম থেকে আপনি কথা নকল করলে তারা আপনাকে গালমন্দ করে! অথচ ওরাই আবার সব নিকৃষ্ট, মন্দ, বদ লোকদের কথা প্রচার করে বেড়ায়।

আল্লাহর কসম! এটা তো বড় ধরনের সমস্যা। সত্যিই, এটা বড় বেদনাদায়ক ঘটনা।
এটা তো “ভাই” নামের শত্রুদের থেকে আমাদের পিঠে ছুরিকাঘাত! আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুদেরকে সহায়তা করা “মিত্রবাহিনী”র পক্ষ থেকে আমাদের জন্য উপহার!

উপরোল্লেখিত লোকদের প্রতি ‘সুধারণা’ রাখার কোনো উপায় আছে কি?

“যারা দয়া করে না, তারা দয়া পায় না।”

✍️শায়খ বদর বিন আলী আল-উতায়বী হাফিযাহুল্লাহ।
(০২/১০/২০২৩ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

জাকাতুল ফিতর কি মূল্য দিয়ে দেওয়া যায়?

-রাসূল ﷺ এটাকে খাদ্যবস্তু হিসেবেই ফরজ করেছেন।
-সাহাবীদের অর্থের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও রাসূল ﷺ আমৃত্যু খাদ্য দিয়েই ফিতরা দিয়েছেন।
-সাহাবীরাও খাদ্য দিয়েই ফিতরা দিয়েছেন।
-খাদ্য দিয়ে ফিতরা দিলে হয়ে যাবে, এ ব্যাপারে সব আলেম একমত। মূল্য দিয়ে হবে কিনা, এ ব্যাপারে আলেমরা মতভেদ করেছেন; অধিকাংশ আলেম না হওয়ার পক্ষে।
-যেকোনো খাবার দিয়ে এক সা পরিমাণ খাদ্য দ্রব্য ফিতরা দেওয়া বৈধ, যদিও মূল্য কমবেশি হয়। অতএব (বোঝা গেল) মূল্য এখানে ধর্তব্য নয়।

সতর্কতা:
১) মূল্য দিয়ে ফিতরা দেওয়া যাবে- মর্মে দেওয়া ফতোয়াকে কেন্দ্র করে কোনো শাসক বা ইসলামী দেশের ফতোয়া কমিটিকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানাবেন না।
২) কেউ যদি ফকিরদের প্রতি ইহসান করতে চায়, তবে সে যেন খাদ্য দিয়ে ফিতরা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের অর্থ থেকেও সাদাকা হিসেবে কিছু দান করে।
৩) কোনো ব্যক্তি যদি মূল্য দিয়ে ফিতরা দেওয়ার ফতোয়াকে সঠিক মনে করে সেটাই দেয়, তবে তার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।

✍️শায়খ সুলায়মান আর-রুহায়লী হাফিযাহুল্লাহ।
(০৭/০৪/২০২৪ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

লায়লাতুল কদর সম্পর্কে পড়ে নিন...

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

আল্লাহ আপনাকে রমজানে পৌঁছালে, আপনি বিদায়ী বছরের ন্যায় রোজা রাখুন।
আরো যে রমজান পাবেন জীবনে, তার কোনোই নিশ্চয়তা নেই।

✍️শায়খ সালেহ সিন্দী হাফিযাহুল্লাহ।
(১১/০৩/২০২৪ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

#রমাযান_রুটিন-০৩

আমাদের সবাইকেই নিম্নের এই কয়টি আমলের ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান হতে হবে:

১) সুন্দর ও বিশুদ্ধভাবে সিয়াম পালন করা। কারণ, রাসূল ﷺ এর ভাষ্যমতে, এভাবে সিয়াম পালন করতে পারলে পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।

২) কিয়ামুল্লাইল বা তারাবীহ। আমরা অনেকেই এটাকে নফল বলে গুরুত্বহীন করে তুলেছি। কিন্তু এর তাৎপর্য অপরিসীম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমাযানে কিয়ামুল্লাইল করতে পারলে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

৩) বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। রমাযান মাসকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে প্রধানত দুইটি বিষয় দিয়ে: এক- পুরো মাসকে সিয়ামের জন্য ফরয করে দিয়ে এবং দুই- এই মাসে কুরআন নাযিল করে। এ ব্যাপারে আমরা আগেও ইঙ্গিত দিয়েছি।

৪) বেশি বেশি দোয়া করা। আসমানের দরজা, রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয় মর্মে সহীহ হাদীস সমূহ আমরা সবাই জানি। সুতরাং, পাপ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার মতো কোনো দোয়া না হলেই তা কবুল হওয়ার মোটামুটি নিশ্চিত আশা করা যায়।

নোটঃ অনুপস্থিত মুসলিম ভাইবোনদের জন্য দোয়া করলে ফেরেশতারাও আমীন বলেন এবং আমার জন্যও অনুরূপ হওয়ার দোয়া করেন। সুতরাং, অন্যের জন্য দোয়া করতে কার্পণ্য করা উচিত নয়।

৫) সাদাকার হাত বাড়িয়ে দিন। আগে যেখানে ৫/১০ টাকা দান করতেন সপ্তাহে, রমাযান মাসে একটু এগিয়ে সেটার পরিমাণ ১৫/২০ টাকায় উন্নীত করুন; সম্ভব হলে আরো এগিয়ে যান।
সেরকম হলে কয়েকজন পরিচিত বন্ধু মিলে একটা ইফতারির ব্যবস্থা করতে পারেন, এতে যতজনকে আমরা ইফতারিতে নিয়ে আসতে পারব তাদের সবার সমপরিমাণ সওয়াব আপনারাও পেয়ে যাবেন।

৬) ইসলামী জ্ঞানার্জনে মনোযাগী হোন। ইসলামের মৌলিক জ্ঞান, ঈমানের আরকান, দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় মাসয়ালা মাসায়েল ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা বাড়িয়ে দিন।

৭) তুল্লাবুল ইলম যারা রয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ করে শরয়ী ইলম ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটা হতে পারে-
-ফজর বা অন্য কোনো ফরয সালাতের পর একটা আয়াত বা হাদীসের উপর ৫/৭ মিনিট আলোচনা। এটা প্রতিদিনও হতে পারে আবার সপ্তাহে ২/৩ দিনও করা যেতে পারে।
-সাপ্তাহিক কোনো একদিনে সবাইকে নিয়ে বসে ১৫/২০ মিনিট আলোচনা করা।
-জুময়ার খুতবার মাধ্যমে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কিস্তি কিস্তি বা পর্ব পর্ব করা উচিত নয়। এতে করে অনেকেই মাহরুম হয়ে যায়।

উপরের (৭) নং পয়েন্টের সবগুলোতেই খেয়াল রাখতে হবে:
-আমি যেন নিজে বিস্তারিত না পড়েই আলোচনায় না বসি।
-জনগণের মন মস্তিস্কের প্রতি খেয়াল রাখা, যাতে করে তাদের মাঝে বিরক্তিভাব না আসে।
-যেসব বিষয়ে বা আয়াত হাদীস আলোচনা করব, তা অবশ্যই তাদের প্রাত্যহিক জীবনে আবশ্যকীয় বিষয়ে হতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি মুস্তাহাব নিয়ে আসা যেতে পারে।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

#রমাযান_রুটিন-০১

আসন্ন রমাযান মাস উপলক্ষে আমাদের দৈনন্দিন রুটিন ঢেলে সাজানো উচিত; বিশেষ করে তুল্লাবুল ইলমের জন্য তো আবশ্যক।

সারাবছর সকালে ঘুমানোর অভ্যাস না থাকলেও এ মাসে আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায় এই ঘুম। ঠিক ফজর পর পর না ঘুমিয়ে কমসেকম এক ঘন্টা পরে ঘুমালেও তা-ও কুরআন তিলাওয়াত সহ একটু আধটু ইলম অর্জন করতে পারব।

তারাবীহ'র সালাত শুধু ইমাম ও জামাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে শেষ রাতে নিজে পড়ার জন্য কিছু রেখে দিই। তাহলে শেষ রাতে ইবাদতের মহিমান্বিত সেই সওয়াব ও মর্যাদামন্ডিত রমাযানের প্রতিদান আমরা পেয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।

কুরআন নাযিলের মাস এই রমাযান। অতএব কুরআন বেশি বেশি পাঠ করতে হবে। কমসেকম একবার হলেও কুরআন এবার শেষ করবই করব- এরকম শক্ত পাকাপোক্ত নিয়ত করতে হবে।

কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি দৈনিক ৫/১০ আয়াত করে আয়াতের অর্থ, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা রপ্ত করার চেষ্টা করব।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

সতর্ক হোন!
রমাজানে সবচেয়ে সহজ কাজ হলো, পানাহার থেকে বিরত থাকা! মায়মুন বিন মিহরান রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ “সওমের সবচেয়ে হালকা স্তর হলো, পানাহার ত্যাগ করা”।

এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ও ভারী বিষয় আছে। সেটা হলো: আপনার চোখ, কান, জিহ্বা আল্লাহর হারামকৃত বিষয় থেকে সিয়াম রাখবে তথা বিরত থাকবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় বিষয়। রাসূল ﷺ(এজন্যই) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি যূর কথা ও তদনুযায়ী আমল এবং জাহল বাদ দিতে পারল না, তার খাবার পানীয় ত্যাগ করাতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই”।
-যূর কথা হলো: হারামকৃত কথা।
-যূর অনুযায়ী আমল বলতে: সব ধরনের হারাম কাজ উদ্দেশ্য।
-জাহল বলতে বুঝায়: গুরুত্বহীন, অনর্থক বিষয়াদি, আদবের সীমারেখা লঙ্ঘন করা। যেমন, মানুষের সাথে গালিগালাজ করা, তর্ক-বিবাদ করা, হৈ হট্টগোল করা ইত্যাদি।

আবু যার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ “আপনি যখন রোজা রাখবেন, তখন সাধ্যমতো নিজেকে সংযমে রাখুন।”
জাবের রাযিয়াল্লাহ আনহু বলেনঃ “আপনি রোজা রাখলে আপনার চোখ, কান, জিহ্বাও যেন সিয়াম রাখে। আপনার রোজা রাখার দিন আর অন্যদিন যেন সমান না হয়”।

এটা তো বড় মুসিবতের কথা যে, মানুষের রোজার অবস্থা আর অন্য অবস্থা একই থাকবে! অন্য সময় যেমন চরিত্র ছিল, রোজা অবস্থাতেও তাই! অন্য সময় যেভাবে লেনদেন করত, সিয়ামের সময়েও একই! 

অতএব মুসলিম ব্যক্তির উপর আবশ্যক হচ্ছে, নিজেকে সংযত রাখা, নিজের অবস্থা খেয়াল করা, উপরোল্লেখিত সওয়াব কমতিকারী বিষয়াবলীর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা -যে বিষয়গুলো মুসলিমের সিয়াম ও দ্বীনের সমস্যা করে-। এই বিষয়গুলো কিন্তু রোজার সময়েই কিভাবে যেন জেগে ওঠে! মিডিয়া এগুলোর মাধ্যমে মুসলিম ব্যক্তির রোজার তো ক্ষতি করেই, ঈমানের ক্ষতিও করে। 

মুসলিমকে সংযমী ও হুঁশিয়ার হতে হবে। রমাজানে আল্লাহর হারামকৃত বিষয়েই যদি তার গায়রত না জাগে, তবে কখন জাগবে!? এই মিডিয়া, চ্যানেলগুলোর অবস্থা দেখে মনে হয়, এরা “রোজাদারের উপরে রোজার প্রভাব যাতে না পড়ে” সে ব্যাপারে খুব তৎপর। সূর্য ডোবা থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর এই হারামকৃত বিষয়গুলোই তারা সম্প্রচার করে যায়! আর মুসলিম ব্যক্তি চ্যানেলের সামনে বসে একেরপর এক পরিবর্তন করছে আর দেখছে! হায় আফসোস! অথচ সে যে তার রোজার সওয়াবই কম করছে তার খেয়াল নেই! 
কেননা, ভালো আমলের সওয়াব কমাতে পাপের বড় প্রভাব আছে, নতুনভাবে আরো পাপ অর্জিত হয়, পাশাপাশি সিয়ামের সওয়াবও বিনষ্ট হয়।

✍️শায়খ সালেহ সিন্দী হাফিযাহুল্লাহ।
(১১/০৩/২০২৪ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

হঠাৎ করেই আপনার বাবা মা মৃত্যু বরণ করবেন। তারপর আপনার অনুভূতি হবে:
-আপনি খুবই একা একা জীবন মরুতে ঘুরছেন!
- পিতা-মাতাহীন ইয়াতীম আপনি!
- খুবই ঠাণ্ডা অনুভূত হবে, কারণ উষ্ণতা যে তাদের সাথেই বিদায় নিয়েছে!
- ক্ষুৎপিপাসায় ভুগবেন, পরিতৃপ্তি তাদের দুজনের সাথেই চলে গেছে যে!
- নিজেকে লাঞ্ছিত অবাঞ্ছিত মনে হবে, সম্মান যে তাদের সাথেই কবরে গেছে!
- নিজেকে খুবই দুর্বল মনে হবে, শক্তিমত্তা যে তারা নিয়ে গত হয়েছেন!

উপরের সব অনুভূতিই আপনার হবে, স্বীকার করুন আর নাই করুন।

সেই সময় শুধু তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা, সদ্ব্যবহার এবং তাদের অভাব আপনার মনে জাগবে। এছাড়া কিছুই করার থাকবে না। অন্যথায় আপনি খুবই ধিকৃত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হবেন।

পিতা-মাতার সাথে আপনার জীবনের কোনো অর্জনই তুলনীয় হবার নয়!
যতই আপনি অহংকার করুন, যতই ধৃষ্টতা প্রদর্শন করুন, যতই ব্যস্ততার অজুহাত দেখান না কেন!

আয় আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার বাবা মায়ের সেবা করার এবং তাদের সাথে উত্তম আচরণ করার তাওফীক দিন।

মাবুদ ওগো! তারা ছোট্টবেলায় আমার প্রতি যেমন করুণা করেছে, তেমনি তুমিও তাদেরকে তোমার দয়ার চাদরে ঢেকে নাও।

✍️শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

চারটি বিষয় আকড়ে ধরতে পারলে আপনার:
-অন্তর নরম হবে,
-আপনার জীবন পরিশুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ,
-আল্লাহর কাছাকাছি হতে পারবেন,
-আল্লাহও আপনার সাথে থাকবেন।
যত বৃদ্ধি করবেন, আপনার সফলতাও তত বাড়বে।

সেই চারটি বিষয় হলো:
১) কুরআন তিলাওয়াত।
২) আল্লাহর জিকির।
৩) একনিষ্ঠভাবে কবুলের দৃঢ় আশা নিয়ে দোয়া করা।
৪) রাসূল ﷺ, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী, ইমাম চতুষ্টয় সহ সব সালাফদের জীবনী অধ্যয়ন করা।

✍️শায়খ সুলায়মান আর-রুহায়লী হাফিযাহুল্লাহ।
(২৬/১২/২০২৩ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

প্রশ্ন: আমরা কেন খ্রিষ্টানদেরকে তাদের ধর্মীয় উৎসব/অনুষ্ঠানগুলোতে অভিনন্দন জানাতে পারব না? অথচ তাদের অনেকেই আমাদের ধর্মীয় উৎসব/অনুষ্ঠানে আমাদের অভিনন্দন জানায়?

জবাব:
প্রথমত: সকল আলেমের ঐক্যমতে কাফেরদের (ইহুদি ও খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী) ধর্মীয় উৎসবগুলোতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো হারাম:
১) এই সব উৎসবগুলোতে তাদের অভিনন্দন জানানো হারাম।

২) যে কোনো মাধ্যমে (যেমন অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি মাধ্যমগুলো দিয়ে) তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে উপস্থিত হওয়া বা যুক্ত হওয়া হারাম।

৩) তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব জিনিস সাহায্য-সহযোগিতা করে যেমন: বিভিন্ন ধরণের খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ, প্রতীক-ব্যাজ সহ অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম।

৪) তাদের এইসব উৎসবকে কেন্দ্র করে কোনো কিছু হাদিয়া বা উপহার (গিফট) দেওয়া হারাম।

৫) তাদের এইসব উৎসব উদযাপনের জন্য হোটেল, মিলনায়তন, কমিউনিটি হল, শামিয়ানা বিশিষ্ট ক্যাম্প, প্রশস্থ মাঠ‌ সহ রেষ্টুরেন্টসমূহ ভাড়া দেওয়া হারাম।

৬) মুসলিম দেশে তাদের উৎসবের ফলাও করে প্রচারণা নিষিদ্ধ।

দ্বিতীয়ত: আমরা কোনো খ্রিষ্টানকে তার ধর্মীয় উৎসবে অভিনন্দন জানাবো না, কারণ সেখানে তারা শিরক ও কুফরীমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। যেমনটি দেখা যায় ঈসা ইবনে মারয়াম আলাইহিস সালামকে প্রভুত্বের স্থান দেওয়া, তাকে আল্লাহর পুত্র সাব্যস্ত করা এবং আল্লাহর ব্যপারে ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করা (العياذ بالله )। তাদের এই কুফরী মতবাদ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সূরা মারয়ামের ৯০ নং আয়াতে বলেনঃ ﴾যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর যমীন খণ্ড-বিখণ্ড এবং পর্বতমণ্ডলী চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে। এজন্য যে তারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে।﴿

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে “কোনো কষ্টের কথা শুনার পর আল্লাহর থেকে অধিক ধৈর্যশীল কেউ নেই। কেননা যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে এবং তার প্রতি সন্তান আরোপ করে এরপরেও তিনি তাদের সুস্থ রেখেছেন এবং রিযিকদান করছেন” [সহীহ মুসলিম]

শরয়ীভাবে এবং যুক্তিগতভাবে এটা প্রমাণিত যে, মদ্যপান, চুরি, ব্যাভিচার, মানুষের প্রতি জুলুম, পিতা-মাতার অবাধ্যতা সহ অন্যান্য পাপের জন্য কাউকে সম্বর্ধনা দেওয়া জায়েয নেই। অথচ এরচেয়েও অধিক জঘন্য, গুরুতর পাপের কাজ হচ্ছে এই সমস্ত উৎসবগুলোতে অভিনন্দন জানানো যেখানে আল্লাহ ছাড়া বাতিল মা'বুদ সাব্যস্থ করা হয়, আল্লাহর প্রতি সন্তান আরোপ করা হয়।

তৃতীয়ত: তবে কাফেরদের কেউ কোনো মুসলিমকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা (ধর্মীয় উৎসবে) যদি অভিনন্দন জানায়, এটা তো দোষের কিছু নয়; কারণ সে তো শরীয়তসম্মত সঠিক উৎসবের প্রতি অভিনন্দন জানাচ্ছে। যেখানে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, আনুগত্য এবং তার প্রতি ঈমান স্বীকার করা হয়।
হকের সম্বর্ধনা কোনো মতেই বাতিলের সমর্থনের সাথে তুলনা করা যাবে না।
তাছাড়াও এই বাতিল যদি আবার মহান আল্লাহর রুবূবিয়্যাতের সাথে সম্পৃক্ত হয়, আল্লাহর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করা হয় এবং তার সাথে আরো স্রষ্টা শামিল আছে বলা হয়; তাহলে অবস্থা কেমন দাঁড়াবে!?

✍️শায়খ আব্দুল কাদের জুনাইদ।
অনুবাদ: জালালুদ্দিন বিন আবু বকর।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

“নিজেকে সবসময় ইতিবাচক চিন্তায় ব্যস্ত রাখুন। আল্লাহ যা ইচ্ছা করবেন, তা হবেই। আপনি খুশি, প্রাণবন্ত, খোলা মনের অধিকারী হোন।

আপনার সামনে রয়েছে সুবিস্তৃত দুনিয়া, সব রাস্তা খোলা। এটাই তো আসল কল্যাণ।”

🖋শায়খ ইবনু উসায়মীন রহিমাহুল্লাহ।

(টুইটার থেকে)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠের ৩৯ টি উপকারিতাঃ

ইমাম ইবনুল কয়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ

১) আল্লাহর নির্দেশ পালন।
২) রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর দরূদের সাথে মিল রাখা। যদিও দূটোর মাঝে বিস্তর ফারাক। কেননা, আমাদের দরূদ মানে: দোয়া ও (তাঁর মর্যাদা) চাওয়া; আর আল্লাহর দরূদ মানে: প্রশংসা ও মর্যাদা বর্ণনা।
৩) দরূদ পাঠের মাধ্যমে ফেরেশতাদের সাথে মিল রাখা।
৪) একবার দরূদ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে দশ বার রহমত লাভ।
৫) এর মাধ্যমে দশটি মর্যাদা উন্নীত হয়।
৬) দশটি সওয়াব লাভ হয়।
৭) দশটি গুনাহ মাফ হয়।
৮) দোয়ার পূর্বে পড়লে সেই দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কেননা, এই দরূদই দোয়াকে আল্লাহ বরাবর উঠিয়ে নিয়ে যায়।
৯) রাসূলের সুপারিশ লাভের মাধ্যম। এটার সাথে ওয়াসীলাহ (রাসূলের জন্য নির্ধারিত স্হান/মর্যাদা) চাইলেও (তো ভালোই) হলো, না হলে শুধু দরূদ পড়লেও হবে।
১০) গুনাহ মাফের মাধ্যম।
১১) দরূদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার চিন্তার ভার নিয়ে নেন।
১২) কিয়ামতের দিন রাসূলের কাছে থাকার অন্যতম কারণ এই দরূদ পাঠ।
১৩) অস্বচ্ছলদের জন্য সাদাকার সওয়াবও হবে।
১৪) বান্দার অভাব/চাহিদা পূরণের মাধ্যম।
১৫) এর মাধ্যমে দরূদ পাঠকারীর উপর আল্লাহ পক্ষ থেকে রহমত ও ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে রহমতের দোয়া লাভ হয়।
১৬) দরূদ পাঠকারীর জন্য যাকাত ও পবিত্রতা স্বরূপ।
১৭) মৃত্যুর পূর্বেই জান্নাতের সুসংবাদ লাভের মাধ্যম।
১৮) কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির উপায়।
১৯) যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ ও শান্তি পাঠায়, তাদের উত্তর দেন স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২০) বান্দার ভুলে যাওয়া বিষয় স্মরনে আসে এই দরূদ পাঠ করলে।
২১) কোনো মজলিস বা বৈঠককে সৌন্দর্য মন্ডিত এবং বৈঠককারীদের আফসোসের কারণ না হওয়ার মাধ্যম।
২২) দারিদ্রতা দূরীকরণের মাধ্যম।
২৩) রাসূলের নামোল্লেখের সময় দরূদ পাঠকারীদেরকে কৃপণতা থেকে মুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
২৪) দরূদ পাঠকারীদেরকে জান্নাতের পথে চালিত করে, আর যারা পাঠ করে না- তাদেরকে এই পথ থেকে বিচ্যুতি ঘটায়।
২৫) যে মজলিসে আল্লাহ ও রাসূলের স্মরণ ও প্রশংসা জ্ঞাপন হয় না, যেখানে রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ হয় না; সেই বৈঠকের পঙ্কিলতা (ও বোঝা) থেকে মুক্তি দান করে।
২৬) যে-ই বক্তব্য ও কথা আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়, সেটাকে সুন্দর সমাপ্তি ঘটায়।
২৭) পুলসিরাত পার হওয়ার সময় বান্দার আলোর ব্যবস্থা করবে এই দরূদ।
২৮) মানুষের কঠোর স্বভাবকে দূর করে দেয়।
২৯) এর মাধ্যমেই আসমান যমিনের মাঝে দরূদ পাঠকারীর প্রশংসা ধ্বনিত হয়।
৩০) দরূদ পাঠকারীর স্বত্ত্বা, কাজকর্ম, বয়স, জীবনের চাহিদা ইত্যাদিতে বরকত লাভের এক মহা মাধ্যম এটি। কেননা, দরূদ পাঠকারী মূলত এর মাধ্যমে রাসূলে ও তাঁর পরিবারের প্রতি বরকত নাযিলের দোয়া করে। আর এই দোয়া তো নিশ্চিত কবুল হয়। সুতরাং, ফলাফলটাও অনুরূপ পেয়ে যায়।
৩১) আল্লাহর রহমত লাভের মাধ্যম।
৩২) রাসূলের মহব্বত বৃদ্ধি, স্হায়ীত্ব ও ক্রমান্বয়ে উন্নতির মাধ্যম।
৩৩) দরূদ পাঠের মাধ্যমে রাসূলের ভালোবাসা অর্জন।
৩৪) মানুষের হিদায়াত লাভ ও অন্তর সঞ্জীবিত হওয়ার মাধ্যম।
৩৫) এর মাধ্যমে বান্দার নামোল্লেখ করা হয় রাসূলের কাছে। যেমনটি তিনি বলেছেন: "তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।"
৩৬) পুলসিরাতে পায়ে অবিচলতা ও পার হতে সহায়ক হবে এই দরূদ।
৩৭) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা রাসূলের মাধ্যমে আমাদের প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছেন, সেই নিয়ামতের সামান্যতম শুকরিয়া আদায় করা হয় এই দরূদ পাঠের মাধ্যমে। পাশাপাশি, রাসূলেরও সামান্যতম হক আদায় করতে পারি এর মাধ্যমে।
৩৮) দরূদ পাঠের মাঝে একাধারে আল্লাহর যিকর, তাঁর শুকরিয়া ও রাসূল প্রেরণের মাধ্যমে আমাদের প্রতি নিয়ামতের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি।
৩৯) রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ মানেই (বান্দার নিজের জন্যও) দোয়া করা। এই দোয়া দুইভাবে হয়ঃ
ক) বান্দার নিজের প্রয়োজন, চাহিদা ইত্যাদি সরাসরি চাওয়া। অর্থাৎ, নিজের চাওয়াকেই প্রাধান্য দেয়া। সুতরাং, এটা দোয়া এবং চাওয়া।
খ) আল্লাহর কাছে তাঁর প্রিয় নবীর প্রশংসা করা এবং রাসূলের মর্যাদা ও সম্মান বুলন্দ করার জন্য দোয়া করা। অর্থাৎ, রাসূলের হককেই প্রাধান্য দেয়া। নিঃসন্দেহে আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূল এটাই ভালোবাসেন।

📚জালাউল আফহাম, ৪৪৫-৪৫৪ পৃষ্ঠা; ঈষৎ পরিমার্জিত।
মূল বইয়ে দলীল সহ বিস্তারিত আলোচনা আছে।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

অনুরূপভাবে তাশরী'উল 'আম তথা ‘ব্যাপকভাবে গাইরুল্লাহর বিধান প্রণয়ন করা’ মাসয়ালাটির ক্ষেত্রে সামাহাতুশ শায়খের নিকট তাকফীরের মূল কারণ একবার, দুইবার বা তাশরী'উল 'আম করা নয় বলেই মনে হয়; বরং মূল কারণ হলো, ই'রায তথা দ্বীন ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এবং তাওয়াল্লী তথা অমুসলিমদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, যেটা আসলে কুফরীর অন্যতম স্বয়ংসম্পূর্ণ আলাদা একটি প্রকার। এজন্যই তার কথাগুলো নিয়ে আপনি চিন্তা করলে দেখবেন, এই বিষয়েই তার মূল ফোকাস ছিল, একদম স্পষ্ট হয়ে যাবে। যে অবস্থায় কুফরুল ই'রায ও তাওয়াল্লী বাস্তবায়ন হবে, সেটাই শায়খের মতে হবে কুফরে আকবার। সাধারণভাবে কেউই এটাতে দ্বিমত করেননি। কিন্তু তাশরী'উল 'আমের উপর এটার প্রয়োগ করাতেই মূলত মতভেদ।

সামাহাতুশ শায়খের কথার সমসাময়িক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে পাঠকের কাছে আরেকটা বিষয় ধরা পড়বে; সেটা হলো: ইসলামী বিশ্বে সেই সময় মানব রচিত সংবিধান প্রণয়নের হিড়িকের সূচনাকাল ছিল। একই বিষয়ে আহমাদ শাকেরের কথাও (আমাদের) এই মতের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়।

উপর্যুক্ত বিষয়গুলোর কারণে সংশয়বাদীদের উপরোক্ত বুঝ সঠিক হওয়ার ব্যাপারটা ঝামেলাযুক্ত থেকেই যায়।
আল্লাহই ভালো জানেন।

✍️শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

কিছু দৃষ্টিভঙ্গি!

সবসময় নিজেকে এই প্রশ্ন করুন: এই কাজে আমার দ্বীন ও দুনিয়ার কি উপকার আছে?

এই পন্থা আপনাকে
-সবকিছুর মূল্য বুঝতে শেখাবে
-সঠিক অবস্থান গ্রহণ করতে সহায়তা করবে
-আল্লাহর অনুমতিক্রমে আপনাকে অপকারী বিষয়ে নির্লিপ্ত রাখবে
-আপনার থেকে অনেক অনিষ্টতা দূর করবে বিইযনিল্লাহ।

ভাই আমার! মুসলিম ব্যক্তি তো বিচক্ষণ, ধীশক্তি সম্পন্ন।
বিচক্ষণ বলতে, সুচারুরূপে কোনো কাজ সমাধা করা এবং নিজের উপকারী বিষয় চিহ্নিত করতে পারা।

ধীশক্তি সম্পন্ন মানে, নিজের যাবতীয় বিষয় বুঝতে পারা; উপকারী হলে গ্রহণ করে আর ক্ষতিকর হলে ছুঁড়ে ফেলে।

অতএব আপনি বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান হোন।

আল্লাহ সবাইকে তাঁর আনুগত্য করার তাওফীক দিন।

✍️শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য বহুলপ্রতীক্ষিত উপহার—

বইয়ের নাম : আকিদা ওয়াসিতিয়্যা ও তার ব্যাখ্যা
মূল লেখক : শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ
ব্যাখ্যাকার : ইমাম ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ
ভাষান্তর : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৪১০

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

আমাদের শ্রদ্ধেয় সদস্যদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ঈদ সেলামি...

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

রমজানের শেষাংশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল চারটি:
১) জাকাতুল ফিতর,
২) ইস্তিগফার
৪) শোকরগুজারি
৫) তাকবীর।

সর্বোত্তম ইস্তিগফার: আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি (أستغفر الله وأتوب إليه )
সবচেয়ে উত্তম শুকরিয়ার বাক্য: আলহামদুলিল্লাহ।
সর্বোত্তম তাকবীর হলো: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ; আর এই তাকবীর শুরু হবে ঈদের চাঁদ উঠা থেকে ঈদের নামাজ পর্যন্ত।

✍️শায়খ সালেহ আল-উসায়মী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

বইয়ের নাম : যেসব আমলের সওয়াব মৃত্যুর পরেও জারি থাকে

মূল লেখক : আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক বিন আব্দুল মুহসিন আল-বদর হাফিজাহুল্লাহ

ভাষান্তর : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

রমাযান মাসের গুরুত্ব ইসলামের শত্রুরাও জানে ও বোঝে। সেজন্যই তারা এই মাস উপলক্ষে অনেক আয়োজন করে থাকে, ছাড়ের ব্যবস্থা করে। শুধুমাত্র আমাকে আপনাকে শিকার করার জন্য। সুতরাং, যতটা নির্জন ও সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে থাকা যায় ততই মঙ্গল।

হে মুসলিম প্রিয় ভাই আমার, আল্লাহ তা'আলা আমাকে এবং আপনাকে ইসলাম বিদ্বেষী -বিদয়াতী ও কুফফার- গোষ্ঠী থেকে হিফাযত করুন। দ্বীনকে যথাযথ আকড়ে থাকার তাওফীক দিন।

#মাহে_রমাযান

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

#রমাযান_রুটিন-০২

রমাযান মাস। সারাদিনই আমরা ফরয ইবাদতের মধ্যে থাকি। সুতরাং, সালাতের মাঝে যেমন আমরা ধীরস্থিরতা ও নম্রতা বজায় রাখি, অনুরূপ এই মাসের সারাদিনই আমাকে সেভাবে কাটানোর চেষ্টা করতে হবে।

সময়ে অসময়ে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। কারণ, আমরা তো সারাদিনই ইবাদতের মাঝে আছি। বিশেষ করে কুরআন তিলাওয়াত, সালাতের পর ইত্যাদি সময়গুলোতে।

দুনিয়াবি, সাংসারিক কাজ এই সময় একটু কমিয়ে দিতে হবে। সালাফরা শুধু রমাযান উপলক্ষে নিজেদের কাজকর্ম কমিয়ে দিতেন, ইবাদতে মশগুল থাকতেন। কাজকর্ম যেন আমাদেরকে এই মহান বরকতময় মাস থেকে গাফেল ও অমনোযোগী না করে দেয়।

নিজেদের অন্যান্য পড়াশোনার চেয়ে এই মাস উপলক্ষে শুধুই শরয়ী ইলম অর্জনে মনোযোগী হতে হবে। এতে করে শরয়ী ফরয ইলম অর্জন করাও হবে, রোযা ও ইলম উভয় আমলের একত্রিত সওয়াব হবে।

ফরয সালাতের পাশাপাশি এই মাসে অন্যান্য নফল ইবাদতের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কে জানে, হতে পারে এটাই আমার জীবনের শেষ রমাযান...

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

রমাজানে এটা অবশ্যই করতে হবে...

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

বরকতময় রমাজানের আগমনে খুশী হয়ে আমরা যেন আমাদের ফি"লি*স্তি'নী ভাইদের ভুলে না যাই, যারা এই শুভ মুহূর্তেও যন্ত্রণাদায়ক ও বীভৎস জুলুম ভোগ করছে।

আমরা অবশ্যই তাদের জন্য দোয়া করব, কারণ দোয়াই হলো শক্তিশালীদের অস্ত্র। আর এই মাসে তো দোয়া কবুলের প্রায় নিশ্চিত আশা করাই যায়।
পাশাপাশি অনুমোদিত পন্থায় তাদের জন্য আমরা অনুদান দেব। কেননা এই মাস তো দানশীলতা ও বদান্যতার মাস।

✍️শায়খ সুলায়মান আর-রুহায়লী হাফিযাহুল্লাহ।
(১১/০৩/২০২৪ ইং)

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের বিরুদ্ধে একটি খুতবা লিখলাম। এটার বহুলপ্রচার কামনা করছি। আমরা একশ কপি ছাপিয়ে খামে করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের জিরো পয়েন্ট ও রাণীবাজার-সংলগ্ন এলাকার মসজিদগুলোর সম্মাননীয় খতিবগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমার স্নেহভাজন ছাত্র ভাইয়েরা আমাকে হেল্প করেছে খুতবার কপি ডিস্ট্রিবিউট করতে। আল্লাহ তাদেরকে সর্বোত্তম পারিতোষিক দিন। আপনারাও নিজেদের এলাকার ইমাম-খতিবগণের কাছে খুতবাটি পৌঁছে দিন। দরকার হলে প্রিন্ট করে খামে করে পৌঁছান তাঁদের কাছে। কোনো হানাফি-আহলেহাদিস বাছবিচার করিনি, বরং সব মসজিদে দিয়েছি। ছবিতে এটা আমাদের এক উস্তাজের হানাফি মসজিদে দেওয়া খাম, যিনি লক্ষ্মৌর নদওয়াতুল উলামা থেকে ফারেগ এবং আরবি সাহিত্যে রাবি থেকে পিএইচডি-হাসিলকারী। ইয়া আল্লাহ, আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সংশোধনের চেষ্টা করেছি, আপনার দেওয়া তৌফিক ছাড়া আমাদের কোনোই সামর্থ্য নেই। এই ছোটো কাজগুলোর অসিলায় আমাদের পাপগুলো মাফ করে দিন। আমিন।

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে পরিবারের পক্ষ থেকে মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য শীতকালীন উপহার।

বইয়ের নাম : হারানো সুন্নাহ
মূল লেখক : শাইখ ড. মুতলাক আল-জাসির হাফিজাহুল্লাহ
অনুবাদ, টীকা-সংযোজন ও পরিশীলন : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা

Читать полностью…

আদ-দা'ওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ

"প্রত্যেক অধিকারীকে তার হক দাও" এই অসিয়ত তালেবে ইলমের বেশি বেশি চিন্তা করা দরকার। বিশেষত সে যখন একই সাথে মানুষকে দাওয়াত ও শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্বে থাকে এবং নিজ পরিবার ও সন্তানদের প্রতিপালনের গুরুভার কাঁধে বহন করে।

✍️শায়খ সালেহ সিন্দী হাফিযাহুল্লাহ।

Читать полностью…
Subscribe to a channel