উম্মাহ টিকে থাকবে কি না, তা তিনটি গুণের উপর নির্ভর করে,
“ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে অতি সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন–
– যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে,
– তারা মুমিনদের প্রতি কোমল আর কফিরদের প্রতি কঠোর হবে,
– তারা আল্লাহর পথে যু/দ্ধ করবে। ”
[ সূরা আল-মা’ইদাহ, আয়াত –৫৪ ]
- শাইখ আব্দুল আযীয আল তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরহ
/channel/AbdulAzizAtTarifi
" ব্যভিচার, মদপান, জুয়া, খুন ইত্যাদিকে হালাল মনে করা কুফরি, যদিও সে তাতে লিপ্ত না হয়।
পক্ষান্তরে ঈমান ধ্বংসকারী কাজগুলোতে লিপ্ত হওয়াই কুফরি, যদিও সে ঈমান বিধ্বংসী বিষয়গুলোকে হারাম বলেই বিশ্বাস করে। "
- শাইখ আব্দুল আযীয আল তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরহ
/channel/AbdulAzizAtTarifi
হাদিসে কত সুন্দর সুন্দর দুআ যে আছে! এই যেমন এই একটা দুআ কত সুন্দর দেখেন। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুআ পড়তেন,
اللَّهمَّ اهدني لأحسنِ الأخلاقِ لا يَهدني لأحسنِها إلَّا أنتَ ، وقني سيِّئَ الأعمال والأخلاق لا يقي سيئَها إلا أنتَ
আল্লাহুম্মাহদিনি লি আহসানিল আখলাখি, লা ইয়াহদিনি লি আহসানিহা ইল্লা আনতা। ওয়াক্বিনি সায়্যিআল আমালি ওয়াল আখলাকি লা ইয়াক্বি সায়্যিআহা ইল্লা আনতা।
অর্থ- হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের দিশা দিন। আপনি ছাড়া আর কেউ নেই, যে আমায় দিশা দেবে। আমাকে বদ আমল, বদ আখলাক থেকে বাঁচান। আপনি ব্যতীত আমল আখলাকের মন্দত্ব থেকে রক্ষা করার কেউ নেই।
-নাসাঈ (৮৯৬), দ্বারে কুত্বনী (২৯৮/১), বায়হাকী (২৪৪৬)
এই দুআটা বেশি বেশি করবেন,
اللهم إني أعوذ بك من علم لا ينفع، ومن قلب لا يخشع، ومن نفس لا تشبع، ومن دعوة لا يستجاب لها
হে আল্লাহ, এমন ইলম থেকে পানাহ চাই, যা দিয়ে উপকৃত হওয়া হয় না। এমন অন্তর থেকে পানাহ চাই, যে আল্লাহকে ভয় করে না। এমন নফস থেকে পানাহ চাই, যা তৃপ্ত হয় না। এমন দুআ থেকে পানাহ চাই, যা কবুল হয় না।
Vaiya- Ammarul Haq
কেমন হতো যদি কুরআন আমাদের থেকে ছিনিয়ে নেয়া হতো?
"কুরআন ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না...
কুরআন বিহীন জীবনযাপন আমার পক্ষে সম্ভব না..."
"এমন দিনের জন্য আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে না রাখুক..."
"মানুষ যখন কুরআন অনুযায়ী জীবন-যাপন করে,
সে আমৃত্যু বরকত লাভ করতে পারে।"
"নিজ শক্তিবলে কোনো কিছুই অর্জন করতে পারিনি!
নিজ মেধাবলে পড়াশোনায় অগ্রগামী হতে পারিনি!
এবং কোনো কাজে উন্নতিসাধন করতে পারিনি!
যা পেরেছে তা একমাত্র কুরআনের বরকতেই....!"
Video credit: Naqibul Muwahhid
/channel/MaalQurani
প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও আমি মানুষের কাছ থেকে সরে এসেছি,
সালাত ও নির্জনতার মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে আমি আশ্রয় গ্রহন করি...
মানুষ আমায় একটা ভুলের জন্য পরিত্যাগ করেছে,
অথচ, আল্লাহ অসংখ্য ভুল থাকার পরেও আমাকে গ্রহন করেছেন...
নিশ্চয়ই তাঁর ভালোবাসায় আমি নিজের ভালোবাসাকে খুঁজে পাই,
তাঁর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নিজের দুঃখগুলো আমি ভুলে গেছি...।
| নাশিদের কথাগুলো যেনো প্রত্যেকের জীবন থেকে নেয়া |
🤍🤍
/channel/juhod
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ সম্পর্কে কিছু কথা।
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিলের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁর পিতা শাইখ মুসা জিবরিল ছিলেন মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই সুবাদে আহমাদ মুসা জিবরিল তাঁর শৈশবের বেশ কিছু সময় মদিনায় কাটান। সেখানেই এগারো বছর বয়সে তিনি হিফয সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার আগেই তিনি বুখারি ও মুসলিম মুখস্থ করেন। কৈশোরের বাকি সময়টুকু তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই কাটান এবং সেখানেই ১৯৮৯ সালে হাইস্কুল থেকে পাশ করেন। পরবর্তীকালে তিনি বুখারি ও মুসলিমের সনদ সমূহ মুখস্থ করেন, এরপর হাদিসের ছয়টি কিতাব (কুতুবুস সিত্তাহ) মুখস্থ করেন। তারপর তিনিও তাঁর বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়াহর ওপর ডিগ্রি নেন।
আহমাদ মুসা জিবরিল শাইখ ইবনু উসাইমিনের তত্ত্বাবধানে অনেকগুলো কিতাবের অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন এবং তিনি তাঁর কাছ থেকে অত্যন্ত বিরল তাযকিয়াহও লাভ করেন। শাইখ বাকর আবু যাইদের সাথে একান্ত দারসে তিনি আল ইমাম ওয়াল মুজাদ্দিদ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব ও শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহর কিছু কিতাবও অধ্যয়ন করেন। তিনি শাইখ মুহাম্মাদ মুখতার আশ শানকিতির অধীনে চার বছর পড়াশোনা করেন। আল্লামাহ হামুদ বিন উকলা আশ শুয়াইবির অধীনেও তিনি অধ্যয়ন করেন এবং তাযকিয়াহ লাভ করেন।
তিনি তাঁর পিতার সহপাঠী শাইখ ইহসান ইলাহি জহিরের অধীনেও পড়াশোনা করেছেন। শাইখ মুসা জিবরিল শাইখ ইহসানকে অ্যামেরিকায় আমন্ত্রণ জানান। শাইখ ইহসান অ্যামেরিকায় কিশোর শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিলের সাথে পরিচিত হবার পর চমৎকৃত হয়ে তার বাবাকে বলেন, ইন শা আল্লাহ আপনি একজন মুজাদ্দিদ গড়ে তুলেছেন। তিনি আরও বলেন, এই ছেলেটি তো আমার বইগুলো সম্পর্কে আমার চেয়েও বেশি জানে।
শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল আর রাহিকুল মাখতুম বইয়ের লেখক শাইখ সফিয়ুর রাহমান আল মুবারাকপুরির অধীনে দীর্ঘ পাঁচ বছর অধ্যয়ন করেন। এ ছাড়াও তিনি অধ্যয়ন করেন শাইখ মুকবিল, শাইখ আব্দুল্লাহ গুনাইমান, শাইখ মুহাম্মাদ আইয়ুব এবং শাইখ আতিয়াহ আস সালিমের অধীনে। শাইখ আতিয়াহ আস সালিম ছিলেন শাইখ আল্লামাহ মুহাম্মাদ আমিন আশ শানকিতির প্রধান ছাত্র এবং তিনি শাইখ আশ শানকিতির ইন্তিকালের পর তাঁর প্রধান তাফসিরগ্রন্থ আদওয়া উল বায়ান এর কাজ শেষ করেন। শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল শাইখ ইবরাহিম আল হুসাইনেরও ছাত্র ছিলেন। শাইখ ইবরাহিম ছিলেন শাইখ আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ বিন বাযের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর।
আল লাজনাহ আদ দাইমাহ লিল বুহুসিল ইলমিয়াহ ওয়াল ইফতাহর প্রথম দিকের সদস্য শাইখ আব্দুল্লাহ আল ক্বুদের সাথে শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাজ্জ করার সুযোগ লাভ করেন। এ ছাড়া দুই পবিত্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির প্রধান শাইখ সালিহ আল হুসাইনের অধীনেও তিনি অধ্যয়নের সু্যোগ পান।
মুহাদ্দিস শাইখ হামাদ আল আনসারির অধীনে হাদিস অধ্যয়ন করেন এবং তাঁর কাছ থেকেও তাযকিয়াহ লাভ করেন তিনি। তিনি শাইখ আবু মালিক মুহাম্মাদ শাকরাহর অধীনেও অধ্যয়ন করেন। শাইখ আবু মালিক ছিলেন শাইখ আলবানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শাইখ আল আলবানি ওয়াসিয়াহতে শাইখ আবু মালিককে তার জানাযার ইমামতি করার জন্য অনুরোধ করেন। শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল শাইখ মুসা আল কারনিরও ছাত্র। কুরআনের ব্যাপারে শাইখ আহমাদ ইজাযাহপ্রাপ্ত হন শাইখ মুহাম্মাদ মাবাদ ও অন্যান্যদের কাছ থেকে।
শাইখ মুসা জিবরিল ও শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিলের ইলম থেকে উপকৃত হবার জন্য শাইখ বিন বায অ্যামেরিকায় থাকা বিলাদুল হারামাইনের ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল শাইখ বিন বাযের কাছ থেকেও তাযকিয়াহ অর্জন করেন। শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিলের ব্যাপারে মন্তব্য করার সময়ে শাইখ বিন বায তাঁকে “শাইখ” হিসেবে সম্বোধন করেন এবং বলেন, তিনি (আলিমদের কাছে) পরিচিত এবং উত্তম আকিদাহ পোষণ করেন। শাইখ আহমাদ বর্তমানে অ্যামেরিকায় নিজ পরিবারের সাথে অবস্থান করছেন।
দুঃখজনক বিষয় হল, এ মানুষটার ব্যাপারে আজ ফতোয়া দেয়া হচ্ছে যে, তিনি তাকফিরি খারেজি। তাঁকে বলা হচ্ছে “বোকা শ্রেণীর কিছু তরুণ ফতোয়াবাজ লোক”। কারণ তিনি বিশুদ্ধ তাওহীদ এবং আল ওয়ালা ওয়াল বারা এর কথা বলেন। কুফফারদের বিরুদ্ধে এবং কুফফারদের পরিচালিত ইসলাম বিরোধী যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেন। ব্রিটেন, অ্যামেরিকা এবং এখন ইসরাইলের ঘনিষ্ট গোলাম সৌদি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলেন। কারণ তিনি সেই আক্বিদা ও মানহাজ প্রচার করেন যার ওপর ছিলেন সালাফ আস সালেহিন থেকে শুরু করে উম্মাহর ইমামগণ, শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও তাঁর সম্মানিত ছাত্রবৃন্দ এবং নাজদী দাওয়াহর ইমামগণ। কারণ তিনি স্পষ্টভাবে উম্মাহর বাতিল মুরজিয়া আর বিকিয়ে যাওয়া, কাফিরদের সন্তুষ্ট করতে উন্মুখ মর্ডানিস্ট ও মডারেটদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, গান্ধীবাদী ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আল্লাহ শাইখকে হিফাযত করুন। তাঁর ইলম থেকে আমাদের উপকৃত হবার সুযোগ দিন।
.
সূত্রঃ আসিফ আদনান ভাইয়ের নিকট থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত।
t.me/ShaikhAhmadMusaJibril
মানুষ জিজ্ঞেস করে হকের ওপর কীভাবে থাকব? মতভেদের মধ্যে হক কোনটা কীভাবে চিনব?
মুফতি সাঈদ খান [হাফি.] সুন্দর উত্তর দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে চান, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ হকের ওপর কাউকে রাখতে পারেনা।
.
এজন্য একটা প্রেস্ক্রাইবড দুআ কিন্তু হাদিসে পাবেন, অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার কাছে কোন ভাষায় হক- কে চাইবেন তা হাদিসে রয়েছে।
দুআটা হল:
.
اللَّهُمَّ رَبَّ جَبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ، فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ. اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ، إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
.
"হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মিকাঈল ও ইসরাফীলের রব, আসমান ও জমিনের স্রষ্টা, প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়সমূহের জ্ঞানের অধিকারী। আপনার বান্দারা যেসব বিষয়ে মতানৈক্য করে আপনিই সেগুলোর ফায়সালা করবেন। সত্য ও ন্যায়ের যেসব বিষয়ে মতানৈক্য পোষণ করা হয়েছে সে বিষয়ে আপনি আমাকে সঠিক পথ দেখান। আপনিই তো যাকে ইচ্ছা সিরাতে মুস্তাকীমের পথ দেখিয়ে থাকেন"[১]
.
.
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম [রাহ.] বলেন, وكان شيخنا كثير الدعاء بذلك
"আর আমাদের শাইখ (ইবন তাইমিয়াহ রাহ.) এই দু'আ প্রচুর পরিমাণে করতেন"[২]
.
আমাদেরও এই দুআটা বেশি বেশি করে পড়া উচিৎ, যেন আল্লাহ তাআলা এর উসিলায় আমাদের সত্য ও সঠিক পথের ওপর রাখেন।
.
.
[১) ইমাম মুসলিম (রাহ.), আস সহিহ, হা: ৭৭০
২) ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহ.), ই'লামুল মুওয়াক্কিঈন আন রাব্বিল আলামীন: ৪/১৯৮, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, ১৯৯১ ঈ.]
"হারজ ও ফিতনার সময় ইবাদাত করা আমার নিকট হিজরত করার সমতুল্য"
.
عبادة في الهرج والفتنة كهجرة إلي
.
~রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম[১]
.
হারজ মানে হচ্ছে যুদ্ধবিগ্রহ ও বিশৃঙ্খলা[২]
আমার নিকট হিজরত করার সমতুল্য- মানে মক্কা বিজয়ের পূর্বে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করলে যেমন সাওয়াব পাওয়া যেত তেমন সাওয়াব পাওয়া যাবে।[৩]
.
এই সময় ইবাদাতের এত সাওয়াব হওয়ার কারণ কী সে সম্পর্কে ইমাম নববীর (রাহ.) ভাষ্য হল- এসময় মানুষ সাধারণত ইবাদাত থেকে গাফেল থাকবে আর এসব ফিতনা ফাসাদে নিমগ্ন থাকবে, তাই এরকম সময়ে যারা ইবাদাত করবে তাঁদের সাওয়াবও বেশি হবে।[৪]।
উনার মূল আলোচনা নিজের ভাষায় উপস্থাপন করলাম মূলভাব অক্ষুণ্ণ রেখে। তবে পড়ে মনে হয়না যে আমাদের সাথে খুব মিলে যায়?
.
কাজেই ফিতনার আলোচনায় নিমগ্ন হওয়ার চেয়েও এমন সময় ইবাদাতে নিমগ্ন হওয়া নিঃসন্দেহে অধিক জরুরি, আর বাস্তবিকই এ থেকে আমরা গাফেল।
.
.
[১) শাইখ আলবানী (রাহ.), সাহিহুল জামি, হা: ৩৯৭৪, ইমাম তাবারানীর (রাহ.) সূত্রে, সনদ সহিহ;
২) ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহ.), কাশফুল মুশকিল মিন হাদিসিস সাহিহাইন: ২/৪২;
৩) ইমাম ইবনুল মালাক (রাহ.), শারহু মাসাবিহিস সুন্নাহ: ৫/৪৯৪
৪) ইমাম নববী (রাহ.), আল মিনহাজ: ১৮/৮৮]
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সম্প্রতি এনক্রিপ্টেড বার্তা আদানপ্রদানের জনপ্রিয় মাধ্যম টেলিগ্রামে আড়িপাতার যন্ত্র কিনেছে বলে ফ্রান্স-ভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। প্যারিস-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্টেলিজেন্স অনলাইন জানিয়েছে, “টুকান” নামক ওই যন্ত্র কেনা হয়েছে ইজ্জি (Ezzy) কমিউনিকেশন্স নামের একটি স্থানীয় পরিবেশকের মাধ্যমে। তবে “টুকান”-এর মূল নির্মাতা কারা, সেই ব্যাপারে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
খবরে আরও বলা হয়, “এই সিস্টেম ব্যবহার করে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের পরিচয় উদ্ঘাটন (ডিঅ্যানোনিমাইজ করা), টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ বা কি-ওয়ার্ড নিয়ে কিছু প্রকাশিত হলেই তা জানা এবং ব্যবহারকারীদের মেটাডাটা (যেমন: ফোন নম্বর, ঠিকানা ও ইমেইল) সংগ্রহ করা সম্ভব।”
বিস্তারিত: https://netra.news/2022/telegram-surveillance-rab-ezzy-bn/
ফলোঃ /channel/HopeIslamicTech
আমাদের সব চ্যানেলঃ /channel/Hope24hours/1215
খুব পছন্দের একটা দু'আ শেয়ার করছি। মনে হয় জীবনের মূল চাওয়াগুলো এই ছোট্ট দুআটার ভেতর ফুটে উঠেছে:
.
اللهُمَّ أَحْسِنْ عَاقِبَتَنَا فِي الْأُمُورِ كُلِّهَا، وَأَجِرْنَا مِنْ خِزْيِ الدُّنْيَا، وَعَذَابِ الْآخِرَةِ
.
"হে আল্লাহ, আমাদের সকল কাজের শেষ পরিণতিগুলো সুন্দর/সঠিকতর করে দিন, আর আমাদেরকে দুনিয়ার অপমান/লাঞ্ছনা ও আখিরাতের আযাব থেকে নিষ্কৃতি দিন"[১]
.
এই দুআটা নিজের জন্য আবশ্যক করে নেয়ার মত একটা দুআ।
.
.
[ ১) ইমাম আহমাদ (রাহ.), আল মুসনাদ, হা: ১৭৬২৭; উস্তায ড. যিয়া আল আ'যামীর (রাহ.) মতে হাসান- আল জামিউল কামিল: ৯/৬৯৯]
গড়িমসি অহংকারের চেয়েও ভয়ংকর পাপ! শাইখুল হাদিস মুফতি আবু ইমরান হাফিযাহুল্লাহ
মূল লেকচার - নেক আমল ধ্বংসের কারণসমূহ | https://youtu.be/XuPWbG5GQtQ
.
.
২০১৩ তে শুরু হওয়া স্ফুলিঙ্গের সাথে জড়িয়ে আরও আরো আত্মত্যাগের আখ্যান। পাশাপাশি আছে সম্মান ও মর্যাদার দৃষ্টান্ত। রেহানের নামটুকু অন্তত আমরা জানি। ওর নামে আমরা স্লোগান দিতে পারি। কিন্তু না-মানুষীর স্কেইলে সেই মানুষগুলোর অবস্থান রেহানেরও অনেক, অনেক নিচে। তাই তাদের নিয়ে কথা বলা যায় না। তাদের নাম উচ্চারণ করা যায় না।
.
একটা কথা আছে: সাফল্যের পিতৃত্বের দাবিদার অনেক, কিন্তু ব্যর্থতাগুলো এতিম। আজকের উত্থানের কৃতিত্ব নেয়ার জন্য অনেকে হাজির হয়ে গেছে। সামনে আরও অনেকে হাজির হবে। অনেককে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অনেকে বসে গেছে স্তুতির ডালি সাজিয়ে। কিন্তু যাদের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি, যাদের কুরবানী সবচেয়ে বেশি—জীবন বাজি রেখে যারা সুন্নাহকে জীবিত করেছিল—গৌরবের সেই উত্তরাধিকারীদের কথা এড়িয়ে যাওয়া হয় সযত্নে, সাবধানে।
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের দুর্বলতা, অক্ষমতা ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য যথেষ্ট।
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
“অভাব দূর করার ক্ষেত্রে لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِٱللَّٰهِ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ক্ষমতা ও শক্তি নাই।) বলার অসাধারণ প্রভাব রয়েছে।”
(আল-ওয়াবিলুস সায়্যিব, ১০৬)
- শায়খ আহমাদ মুসা জিবরীল
জগতের কোনো মানুষের পক্ষেই মানুষের সমালোচনা ও কথা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না। তাই মানুষের সমালোচনাকে উপেক্ষা করে সত্যের অনুসরণ করা ও তা স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এইজন্য আবূ মুসলিম খাওলানি বলেন,
" মানুষ হলো কাঁটাহীন পাতার মতো। কিন্তু এখন তারা পাতাহীন কাঁটার মতো হয়ে গেছে।
যদি আপনি তাদেরকে গালি দেন, তাহলে তারা আপনাকে গালি দেবে। যদি তাদের সমালোচনা করেন,
তাহলে তারাও আপনার সমালোচনা করবে।
আর যদি এসব পরিত্যাগ করেন তবুও সমালোচনাই করবে।
যদি আপনি তাদের থেকে পালিয়ে বেড়ান,তবে খুঁজে বের করবে। "
এতটুকু শুনে এক লোক বলল,
" তাহলে আমি কী করতে পারি? "
তিনি বললেন,
" তোমার দারিদ্র্যের দিনে ফেরত পাওয়ার আশায় তাদেরকে তোমার সম্মান দান করে দাও। "
[ অর্থাৎ - যেদিন সকলে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হবে,সেদিন তুমি সবচেয়ে বেশি দরিদ্র থাকবে।
তুমি সেদিন সামান্য একটি বস্তুর জন্যও অন্যের দিকে চেয়ে থাকবে।
সেদিন তাদের সমালোচনা তোমার প্রয়োজনকে পূরণ করবে।
ঐগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ]
- শাইখ আব্দুল আযীয আল তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরহ
/channel/AbdulAzizAtTarifi
একটা গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা...
'মাসবুক সাহু সিজদার সালামে ইমামের অনুসরণ না করে শুধু সিজদায়ে সাহুতে ইমামের অনুসরণ করবে'- ফকীহগণের মত অনুযায়ী মাসবুক ব্যক্তি সাহু সিজদায় ইমামের সাথে সালাম ফিরাবে না। তাঁরা এর কারণ হিসেবে বলেছেন, ইমাম সালাম ফিরাচ্ছেন নামাযের মূল আমলগুলো শেষ হওয়ার পর। আর মাসবুক ব্যক্তির যেহেতু এখনো নামাযের রাকাত বাকি রয়েছে তাই সে এই সালামে ইমামের অনুসরণ করবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৪২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৪; তুহফাতুল ফুকাহা ১/২১৫; ফাতহুল কাদীর ১/৪৪২; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৪৬৩; আলবাহরুর রায়েক ২/১০০; রদ্দুল মুহতার ২/৮২
Read till the end, where an ex-CIA official talks about the most dangerous intelligence agencies in the world:
https://muslimskeptic.com/2022/10/18/israel-palestine-the-rise-of-armed-palestinian-groups/
কুরআন মানেন? সব মুসলিম একবাক্যে ‘জ্বি’ বলবেন। সাহাবায়ে কেরামের মতো করে না নিজের মতো করে? এই প্রশ্নের উত্তরে এসে পথ আলাদা হয়ে যায়।
_ শাইখ আতিক উল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ)।
/channel/MaalQurani
সকাল-সন্ধ্যার আযকারগুলো সম্পর্কে ইমাম নববী [রাহ.] খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন:
.
"কেউ (সকাল-সন্ধ্যার) সকল আযকার করার তাওফিক প্রাপ্ত হলে সেটা তার জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নিয়ামাত ও অনুগ্রহ এবং তার জন্য এক সুসংবাদ। আর যে সবগুলো আযকার করতে অক্ষম হয় তার উচিৎ সংক্ষিপ্ত আযকারগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকা, যেভাবে সে চায়; তা সেটা যদি একটা যিকর হয় তাও (অর্থাৎ অন্তত একটা হলেও আদায় করুক)"[১]
.
অনেকেই দেখা যায় সকাল-সন্ধ্যার আযকারগুলো কখনো করতে ব্যর্থ হন, তাদের উচিৎ যে কয়টা পারা যায় অন্তত সে কয়টা যিকর যেন করে নেয়। এতেও অনেক উপকার রয়েছে। মিস হয়েছে বলে সবগুলোই মিস করে দেয়া নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যের বিষয়।
.
.
[১) আল আযকার, পৃ: ৭৬; দারুল ফিকর, বৈরুত, ১৯৯৪ ঈ.]
~ মুহতারাম মানযুরুল কারীম (হাফিযাহুল্লাহ)।
/channel/juhod
মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা, বিশেষ করে যারা বাতিলের ওপর রয়েছে তাদের থেকে দূরে থাকাও ইবাদাতের মধ্যে পড়ে। যেমনটা খলিল (ইব্রাহীম) [আ.] এর ক্ষেত্রে ঘটেছিল যখন তিনি বলেছিলেন, إنِّي ذَاهِبٌ إلَى رَبِّي
'আমি আমার রবের দিকে চললাম'[১]"
.
~ ইমাম ইবন হাজার আল আসকালানী [রাহ.][২]
.
.
[ ১) সূরা আস সাফফাত: ৯৯
২) ফাতহুল বারী: ৮/৭১৭]
যে আলিম আদেশ-নিষেধের বায়ান পরিত্যাগ করে নিজেকে শুধু মাত্র ইসলামের গুণগানের বায়ান যেমন যিকির ও আখলাক ইত্যাদিতে ব্যস্ত রাখল,সে ইসলামের হেফাজত করল না। আল্লাহ তার উপর দ্বীন হেফাজতের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু সে দ্বীনের দরজার কথা ভুলে গিয়ে জানালার হেফাজত করল।
- শাইখ আব্দুল আযীয আল তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরহ।
"যতক্ষণ তুমি চুপ আছ ততক্ষণই নিরাপদ। যখন কথা বলবে তখন হয় তা তোমার স্বপক্ষে লিখিত হবে নয় বিপক্ষে"
.
إِنَّكَ لَنْ تَزَالَ سَالِمًا مَا سَكَتَّ، فَإِذَا تَكَلَّمْتَ كُتِبَ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ
.
~ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
.
.
[ ইমাম হাইসামী (রাহ.), মাজমাউয যাওয়াইদ, হা: ১৮১৫৬; ইমাম তাবারানীর (রাহ.) সূত্রে, সনদ সহিহ]
শয়তান নিবাস!
লিখাঃ শাইখ আতিক উল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ)
আমাদের বাড়িঘরের ৫টি স্থানে শয়তান ‘বসত’ গাড়ে। এসব স্থান সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরী। বিশেষ করে ঘরে ছোট সন্তান থাকলে।
একঃ দীর্ঘদিন যাবত যে বিছানো বিছানায় কেউ শোয়নি। শয়তান এমন বিছানা দখল করে বসে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
فِراشٌ لِلرَّجُلِ، وفِراشٌ لأهلِهِ، والثّالِثُ لِلضَّيْفِ، والرّابِعُ لِلشَّيْطانِ
পুরুষের জন্য একখানা চাদর, তার স্ত্রীর জন্য একখানা চাদর এবং তৃতীয়টি অতিথির জন্য। আর চতুর্থটি শয়তানের জন্য (জাবের রা। মুসলিম: ২০৮৪)।
বসীরাহঃ এজন্য অব্যবহৃত বিছানা ভাঁজ করে রাখা নিরাপদ। ভাঁজ না করলেও নিয়মিত বিছানা ঝাড়া উচিত। অথবা আয়াতুল কুরসি ও রুকিয়ার আয়াত পড়ে ফুঁ দেয়া পানি ছিটানো উচিত। দুই বা তিনদিন পরপরই এমনটা করা উচিত।
দুইঃ হাম্মাম (বাথরুম)। এটা সবার জানা আছে। হাম্মামে সবচেয়ে দুষ্ট আর খবিস প্রকৃতির শয়তানরাই থাকে। এজন্য হাম্মামে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা ভীষণ জরুরী। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إنَّ هذه الحُشوشَ مُحتَضرةٌ، فإذا أتى أحَدُكم الخلاءَ فلْيَقُلْ: أعوذُ باللهِ مِن الخُبُثِ والخبائثِ
এসব পায়খানার স্থান হচ্ছে (জ্বিন ও শয়তানের) উপস্থিতির স্থান। সুতরাং যারা পায়খানায় যাবে তারা যেন এ দোয়া পড়েঃ আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাল খুবুসি ওয়াল খবা-য়িস।
অর্থাৎ- আমি নাপাক নর-নারী শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই (যায়েদ বিন আরকাম রা। আবু দাউদ: ২)।
তিনঃ দীঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা অব্যবহৃত, অধোয়া জামাকাপড়। আলমারি ওয়ার্ডরোবে দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা পোশাকাশাকও এই ঝুঁকির আওতামুক্ত নয়। নবীজি বলেছেন,
اطووا ثيابَكُم ترجِعُ إليها أرواحُها، فإنَّ الشَّيطانَ إذا وجدَ ثوبا مطويًّا لم يَلبَسهُ، وإذا وجدَهُ مَنشورًا لبسَهُ
তোমাদের জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখো। কারণ, এসব জামাকাপড়ের কাছে দুষ্টজ্বিনেরা ফিরে ফিরে আসে। আর শয়তান ভাঁজ করা জামাকাপড় পরে না। মেলে দেয়া পোশাক পেলে পরে (জাবের রা। সিলসিলাহ যয়ীফা: ২৮০১)।
বসীরাহঃ আমরা অনেকেই জামাকাপড় ঝুলিয়ে রাখি। হাতের নাগালে রেখে, যখন ইচ্ছা পরার সবিধার্থে আমরা সাধারণত জামাকাপড় লটকে রাখি। যে কোনো ক্ষতি-অনিষ্ট থেকে বাঁচতে হলে, এসব পোশাকে কুরআন পড়া পানি ছিটিয়ে দেয়া নিরাপদ। মাঝেমধ্যে আলমারি, ওয়ার্ডরোব খুলে জামাকাপড়ে সূরা ফাতিহা ও আয়াতুল কুরসি পড়ে ফুঁক দিতে পারি।
চারঃ প্রাণী বা মানুষের মূর্তি ও পুতুল। এসব পুতুল-মূর্তি ঘরে থাকলে, ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। ফেরেশতার আগমন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে, এসব পুতুল-মূর্তির আড়ালে শয়তান (দুষ্ট জ্বিন) আশ্রয় গ্রহণ করে। নবীজি বলেছেন,
لا تَدْخُلُ المَلائِكَةُ بَيْتًا فيه كَلْبٌ، ولا تَماثِيلُ
যে ঘরে কুকুর ও মূর্তি-ভাস্কর্য থাকে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না (আবু তালহা রা। মুসলিমঃ ২১০৬)।
বসীরাহঃ আরেক বর্ণনায় আছে, ঘরে ‘ছবি’ থাকলেও ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
পাঁচঃ আগুন জ্বালানোর স্থান। উনুন-চুলা। এসব স্থান জ্বিন-শয়তানের খুবই প্রিয় জায়গা। কারণ তারা আগুনেরই সৃষ্টি। এজন্য যখনই আগুনের কাছে যাবো, রান্নাবান্নার কাজে চুলার কাছে যাবো, মুখে মনে আল্লাহর যিকির করার অভ্যেস গড়ে তুলব। ইন শা আল্লাহ।
নাউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম।
ইয়া আল্লাহ, আমাদেরকে ও আমাদের সন্তান-সন্ততিকে জ্বিন-শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
/channel/juhod
মাত্রাতিরিক্ত আশা আর আখিরাতের ব্যাপারে উদাসীনতার লক্ষণ হলো দুনিয়ার প্রতি লোভ। দুনিয়া নিয়ে যার আশা যত বড়, আখিরাত নিয়ে তার জ্ঞান তত কম। আখিরাতের বিশালত্ব, পুরস্কার, শাস্তির ব্যাপ্তি এসব যদি তারা জানতো তবে দুনিয়া নিয়ে তাদের আশা কখনো বড় হতে পারতো না। কিন্তু যেদিন তারা সত্যটা জানবে, সেদিন আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না!
“ ছেড়ে দাও ওদেরকে, ওরা খেতে থাক আর ভোগ করতে থাক, আর (মিথ্যে) আশা ওদেরকে উদাসীনতায় ডুবিয়ে রাখুক, শীঘ্রই ওরা (ওদের কাজের পরিণতি) জানতে পারবে। ”
( সূরা আল-হিজর , ১৫ঃ ৩ )
- শাইখ আব্দুল আযীয আল তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরহ
হিদায়াত পাওয়ার পর যত মানুষ পুনরায় জাহিলি ( অনৈসলামিক ) জীবনে ফিরে গেছে, তাদের অধিকাংশই এমন কাজের দিকে ঝুঁকে গিয়েছিলো, যা তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে করতো।
তাই, গোপনে আপনার দ্বীনদারি বজায় রাখুন এবং আল্লাহ সাথে সৎ থাকুন;তিনি আপনার বাহ্যিক দ্বীনদারি রক্ষা করবেন। ’
সুন্দর মৃত্যুর সবচেয়ে বড় উসীলা হলো, গোপন ইবাদাত। তেমনিভাবে
ভালো মৃত্যু'র অন্যতম উপায়ও হল গোপন নেক আমল।
অপরদিকে অপমৃত্যুর সবচেয়ে বড় উসীলা কিংবা কারণ হলো, প্রকাশ্য গুনাহ। আর 'খারাপ মৃত্যু'র অন্যতম কারণ হলো গোপন গুনাহ।
- শাইখ আব্দুল আযীয আল তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরহ
রেহান থেকে আবরার
আসবো ফিরে বারবার...
.
স্লোগানটা দেখার পর অনেকে প্রশ্ন করেছেন রেহান কে? আজকের স্কুলকলেজের ছাত্ররা ২০১৩তে বেশ ছোট ছিল। ওদের অনেকেরই রেহানকে চেনার কথা না। আর রেহানকে চেনাতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায়ভার কিছুটা মোছার জন্য এই লেখা।
.
রেহানকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না, তবে ওর ক্লাসমেট ও বন্ধুদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে ওকে নিয়ে লিখেছে। ওগুলো থেকে পাওয়া তথ্যগুলোই কম্পাইল করে নিচে দিচ্ছি।
.
নাম: রেহান আহসান
গ্রাম: নওগা
সিএসই ০৯ ব্যাচ, বুয়েট। রোল নাম্বার ৩৮।
এইচএসসি: ২০০৯, সিটি কলেজ
এসএসসি: ২০০৭, গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল।
.
২০১৩ এর ৫ই মে রেহান ছিল শাপলা চত্বরে। নবী (ﷺ) এর ভালোবাসায় আরো অনেকের মতো রাস্তায় নেমে এসেছিল ছেলেটা। ওখানেই ওকে মারা হয়। আল্লাহ ওকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
.
রেহানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লিখেছিল-
.
"'ওরা তো চারদিক থেকে আমাদেরকে ঘিরে ফেলসে। আমি মনে হয় শহীদ হয়ে যাব। তোকে যে টাকাগুলা দিছিলাম ওইগুলা কারো পাওনা থাকলে তাদের দিয়ে দিস'...
.
এই কথাগুলো ছিল না রে তোর দোস্ত? তোর মৃত্যু কোন দুর্ঘটনা কিংবা unfortunate accident না । এটা খুন। রাতের অন্ধকারে বাতি নিভিয়ে যারা তোকে যারা খুন করেছে তাদের আল্লাহ ক্ষমা করুক না করুক আমি জীবনেও ক্ষমা করবো না । তোকে প্রায়ই মিস করি জানিস দোস্ত ? ভাগ্যিস দেশে নাই । তাহলে আরো করতাম হয়তো। তোকে ছাড়া আর কোনদিন মনে হয় স্টারে লেগ রোস্ট নান পরোটা খাইতে পারবোনা রে"।
.
.
আরেকজন লিখেছিল–
.
"সবাইকে কাদিয়ে চলে গেলো আমাদের সবার প্রিয় রেহান আহসান । আমার বন্ধুদের মধ্যে সম্ভাব্য সব থেকে বেশী ব্রিলিয়ান্ট ও প্রতিভাবান ছেলে। ওর শিক্ষাজীবনে এমন কোনও শিক্ষক ও সহপাঠী নাই যারা ওকে না জানে। খুবই সাধারন ও নিরহংকার একটি ছেলে। ঢাকার বিখ্যাত গভঃ ল্যাবরেটরি স্কুলে ২০০৭ সালে গোল্ডেন A+ পায় । স্কুলে সর্বদা ওর রোল ২-৩ এর মধ্যে ছিল । এরপর সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে প্রথম অবস্থানে ছিল । এরপর বুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়...
.
খুব ভালোবাসতো ইসলামকে এবং তাহাজ্জুদের নামাজও পড়তো। গত রাতে ও সেই ইসলামকে ভালবেসেই শহীদ...আজ আমি আমার কিছু নাস্তিক বন্ধুদেরও দেখলাম ওর জন্য জানাজার নামায পরে কাঁদতে। জাতি কি এই হত্যাকাণ্ডে খুব লাভবান হবে? আমার সারা জীবনেও এই উত্তর খুজে পাবো না"।
.
আরেকজনের কথা থেকে –
.
"রেহানের ২টা ছবি আমার মাথায় গেঁথে আছে। প্রথমটা হলো খালিগায়ে হাতাকাটা জ্যাকেট পরা রেহান। অবশ্য নিচেও হাতাকাটা গেঞ্জি থাকতে পারে জিজ্ঞেস করা হয়নি কখনো। বেশ বড়সড় লম্বাচওড়া একটা ছেলে হাতাকাটা জ্যাকেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে দৃশ্যটা একটু অদ্ভুতই ছিল। অবশ্য রেহান এসব কেয়ার করত না। ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার হিসাবে শুরু থেকেই বেশ পপুলার ছিল।
.
এপ্রিলের কোনো একদিন ক্লাসে ঘুম থেকে উঠে দেখি পাশের সিটে রেহান ছোট একটা বই থেকে কি জানি পড়ছে। জিজ্ঞেস করায় বলল, সূরা মূলক মুখস্থ করছে। একটু অবাক হয়েছিলাম, লজ্জাও পেয়েছিলাম। আমার ততদিনে থুতনিতে কিছু দাঁড়ি থাকলেও সূরা মূলক পারতাম না।
.
স্মৃতিতে দ্বিতীয় ছবিটা ঢাকা মেডিকেল কলেজের বারান্দায়। ৬ তারিখ সকালে সেখানে নিথর রেহান শুয়ে ছিল। বরং বলা যায় পড়েছিল অবহেলায়। চোখ দুটো খোলা। একবার চেষ্টা করি বন্ধ করে দেওয়ার। সেইবারই শেষ ওকে ধরা। আগের রাত ১টার আশেপাশে খবর পাই যে রেহান শহীদ হয়ে গেছে। এরপর সকাল হওয়ার অপেক্ষা, মেডিকেলে যাওয়া। দুপুরবেলা হাতিরপুলে এক মসজিদে হলো জানাযা।
.
কিছুদিন আগেই বন্ধুদের সাথে কুমিল্লা ঘুরতে গিয়ে আমার বাসায় ওরা ছিল একরাত। বড়সড় রেহান খেতে পছন্দ করত। আম্মার রান্নার প্রশংসা করেছিল খুব। ফিরে আসার পর আম্মা ফোন করলে বললাম, কিছুদিন আগে যে বাসায় আসছিল, রেহান, ওরে মেরে ফেলছে শাপলা চত্বরে"।
.
.
রেহান আহসান ইসলামের জন্য, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য রাস্তায় নেমেছিল। ওকে মরতে হয়েছিল ইসলামের জন্য। সেক্যুলার বাংলাদেশের কাছে, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জমিদারদের কাছে রেহানরা পূর্ণ মানুষ না। ওরা না-মানুষ। তাই রেহানের কথা মনে রাখা হয় না।
.
সংক্ষেপে এই হল রেহান আহসানের গল্প। রাহিমাহুল্লাহ।
ওর ব্যাপারে এর চেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই। আমি সত্যিই খুব লজ্জিত এবং দুঃখিত। রেহানদের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা, পরের প্রজন্মগুলোর কাছে পৌছে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছি না।